১২ জুলাই, ২০২৪ ২১:২০

ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়নি

ঠাকুরগাঁওয়ের জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে একাধিক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার ১১ দিন পরেও সেই মাদরাসা সভাপতিকে গ্রেফতার করতে পারেনি রানীশংকৈল থানা পুলিশ। এই ঘটনায় এখনো চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

জানা যায়, ২০১১ সালে স্থানীয়দের আর্থিক সহযোগিতায় রাণীশংকৈল উপজেলার ভরনিয়া গ্রামে ‘ভরনিয়া দারুল হাদিস ওয়াদ দাওয়াহ্ আস্-সালাফিয়্যা মাদরাসাটি গড়ে উঠে। মাদরাসাটির দুইটি শাখা রয়েছে। একটি ছাত্রীদের জন্য আবাসিক এবং অপরটি ছাত্রদের জন্য অনাবাসিক। আবাসিকে ১৫-১৬ জন কিশোরী রাত্রিযাপন করে। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম রাতের বেলা প্রায় সময় আবাসিকে যাতায়াত করতেন এবং মেয়েদের জুস খাওয়াতেন। জুসে মেশানো থাকতো চেতনানাশক ওষুধ। আর সেই ওষুধ খাইয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করতেন তিনি।

গত ৪ জুলাই সব ছাত্রীদের ছুটি দেয়া হলেও তিনজন ছাত্রীকে সভাপতির নির্দেশে ছুটি দেয়া হয়নি। মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিম ওই রাতে গিয়ে ওই তিন কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ মেশানো জুস খাওয়ান। কিশোরীরা ঘুমিয়ে গেলে গভীর রাতে মাদরাসার ভেতরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি পরদিন জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ জানান এবং আব্দুল করিমের বাড়ি ঘেরাও করেন।

ওই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রতি বৃহস্পতিবার অনেক ছাত্রী বাড়ি চলে গেলেও ৪/৫ জন ছাত্রী মাদরাসায় রাত্রিযাপন করেন। আর এই সুযোগে ছাত্রীদের জন্য ফল, জুসসহ অন্যান্য খাবার নিয়ে আসতেন সভাপতি। কৌশলে তাদের খাওয়াতেন তিনি। খাবারে চেতনানাশক মেশানো থাকায় থাকায় শিক্ষার্থীরা গভীর ঘুমে পড়েন। এ সুযোগে একরুম থেকে অন্যরুমে মই দিয়ে চলে যেতেন ছাত্রীদের রুমে। এরপর অচেতন ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন তিনি।

এদিকে এই ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার ১১ দিন কেটে গেলেও আজও সেই সভাপতিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছেন পলাতক রয়েছে সেই সভাপতি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন, মাদরাসার সভাপতি আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কেন এখনো কোন ব্যবস্থা হলোনা সেটি নিয়ে কথা বলে জানা যাবে।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, এ ঘটনায় এক ছাত্রীর অভিভাবক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আসামির মোবাইল ফোন বন্ধ আমরা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছি তাকে গ্রেফতার করার।

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর