গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুদু মিয়া (৬০) নামে এক নৈশপ্রহরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গ্যারেজ থেকে পাঁচটি অটোরিকশা লুটের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। রবিবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক অবরোধ করেন তারা।
আধা ঘণ্টাব্যাপী অবরোধকালে সড়কের দু'পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম আজমিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। এতে বিক্ষুদ্ধরা শান্ত হলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।এর আগে সকালে পলাশবাড়ী পৌর শহরের সুইগ্রামের নুরে আলম জিন্নু মিয়ার গ্যারেজ থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে পলাশবাড়ী পৌর শহরের সুইগ্রামের নুরে আলম জিন্নু মিয়ার গ্যারেজে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত দুদু মিয়া (৬০) পলাশবাড়ী পৌর শহরের সুইগ্রামের মৃত আমির আলীর ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নুরে আলম জিন্নু মিয়ার গ্যারেজে নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জিন্নু মিয়ার গ্যারেজে রাতে অটোরিকশা রেখে চার্জ করতেন চালকরা। প্রতিদিনের মতো রাতের বেলা গ্যারেজে দায়িত্ব পালন করছিলেন দুদু মিয়া। গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত গ্যারেজে ঢুকে দুদু মিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর গ্যারেজে থাকা ৫টি অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আজ বিকেলে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামে এসে পৌঁছে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর পনের মিনিট পরেই শোক-ক্ষোভে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়ক অবরোধ করেন তারা।
গ্যারেজ মালিক জিন্নু মিয়ার অভিযোগ, একটি চিহ্নিত চোর চক্র এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এরআগেও গ্যারেজ থেকে অটোরিকশা চুরির ঘটনা ঘটেছে। চিহ্নিত চোর চক্রটি পরিকল্পিতভাবে এই হত্যার ঘটনা ঘটায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজমিরুজ্জামান বলেন, এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল