১৫ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৩৬

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও কমছে না বানভাসিদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও কমছে না বানভাসিদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমলেও এখনও কমছে না বানভাসিদের দুর্ভোগ। ব্রহ্মপুত্র নদ ও দুধকুমার নদীর পানি নিচে নেমে আসলেও এখনো বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে এসব এলাকার মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে। হাঁটু বা কোমড় পানি থাকায় বাড়ি ফিরতে পারছেন না তারা। খাদ্য সংকট ও জ্বালানি সংকটের কারণে একবেলা রান্না করে পুরো দিন চালিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। 

দুর্গত এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে ডায়রিয়া,আমাশয়সহ নানা পানিবাহিত রোগ। অনেকের কাছে স্বাস্থ্যবিভাগের কর্মীরা যেতেই পারেননি। পাশাপাশি দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট। 

এছাড়াও পানি কমতে শুরু করায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করেছে উলিপুর, সদর, রাজারহাটসহ কয়েকটি উপজেলার ৭টি স্পটে। সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত মহিতুল্লাহ মিয়া বলেন, গতকাল থেকে নদীর পানি কমছে। কিন্তু হামরা এলাও বাড়ি যাবার পাই নাই। কারণ বাড়িত এলাও এক হাঁটু পানি। পানি কমলে তারপর বাড়ি যাবো। তাছাড়া কাদো দিয়ে ভর্তি ঘরের চার পাশ।

এদিকে, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের চরগুজিমারীর বাসিন্দা আমেনা বেওয়া বলেন, ‘হামার বয়স ম্যালা কষ্ট করি পানিত আছি ১২দিন থাকি। এলা পানি কমছে ঘরত যামো।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি ২য় দফা বন্যায় এবার ৯ উপজেলায় আউশ ধান, রোপা আমন বীজতলা ও সবজিসহ নানা ফসল ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির ডুবে যায়। আমরা পুরোপুরি ক্ষতির পরিসংখ্যান এখনও না করলেও আউশ, রোপা আমন বীজতলাসহ বেশ কিছু সবজি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। 

উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী। এখন পর্যন্ত অনেক বন্যাত্র মানুষ ত্রাণ না পাওয়ায় অত্যন্ত কষ্টে দিন কাটছে বলে অভিযোগ ও তাদের দ্রুত ত্রাণ সহায়তা প্রদানের অনুরোধ জানান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। 


বিডি প্রতিদিন/এনএইচ

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর