চাঁদপুরে জেলেদের বরাদ্দ ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর দুদক প্রতিবেদন দিয়েছে।

সোমবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন চাঁদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী।

মামলাটি তদন্তের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন চাল কম পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।

এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্য গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪ দশমিক ১ মেট্রিক টন কম পান। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিল ৫৩ দশমিক ৬৮ মেট্রিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ইউএনও ওই চালের গোডাউন সিলগালা করে দিতে বললে, তখন গোডাউনটি সিলগালা করে দেন।

বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ এর নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত এই মামলাটি দুদককে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পর আদালতের নির্দেশক্রমে সিলগালা থাকা অবস্থায় গোডাউন খুলে ওই চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল