১৫ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৩৮

গাইবান্ধায় কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধায় কমছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ

গাইবান্ধায় কমেছে নদ-নদীর পানি। তবে বেড়েছে বন্যার্তদের দুর্ভোগ। জেলার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও তিস্তা নদীর পানি কমেছে। তবে বেড়েছে করতোয়া নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পেলেও করতোয়া রয়েছে বিপৎসীমার নিচে। 

পানি কমলেও বিপৎসীমায় ছুঁইছুঁই থাকা ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি প্লাবিত এলাকার পানি এখনো পুরোপুরি নামেনি। এতে হতাশ আর দু:চিন্তায় পড়েছে বন্যা কবলিতরা। পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষজন শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। প্রকট আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা।

সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায়  ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ২১ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১১ সেমি, ঘাঘট নদীর পানি ৫৫ সেমি ও তিস্তার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ৪৯ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে করতোয়া নদীর পানি ২ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১০২ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

দ্বিতীয় দফায় বন্যায় জেলায় পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে আউশ ধান, পাট, ভূট্টা, বীজতলা ও শাকসবজিসহ ৬ হাজার ৪৩৬ হেক্টর কৃষি জমির ফসল। গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় বন্যায় নিমজ্জিত থাকায় ক্ষতি হয়েছে রোপা আমন, তিল, কালাই, বাদাম, ভূট্টাসহ অন্যান্য শাকসবজিরও। ক্ষতি হয়েছে মৎসখাতেও। সব মিলিয়ে জেলার অর্থনীতিতে ঘাটতি ১০০ কোটি টাকারও বেশি। পানি ওঠায় ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ১৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রাথমিক ও জেলা শিক্ষা বিভাগ।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর