১৬ জুলাই, ২০২৪ ১৭:৫৭

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বেড়েছে দুর্ভোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, বেড়েছে দুর্ভোগ

গাইবান্ধায় কমেছে নদ-নদীর পানি। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। তবে বেড়েছে বন্যার্তদের দুর্ভোগ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার, গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানির সংকট। পানি কমায় নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্ক। জেলার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি কমেছে। তবে  বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। পানি বৃদ্ধি পেলেও তিস্তা রয়েছে বিপৎসীমার নিচে।

পানি কমে যাওয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত গাইবান্ধা সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি প্লাবিত এলাকার বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনো পানি পুরোপুরি না নামায় হতাশ আর দু:চিন্তায় যেন পিছু ছাঁড়ছেনা বন্যার্তদের। পানিবন্দি এসব এলাকার মানুষজন শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। প্রকট আকার ধারণ করেছে গো-খাদ্যসহ বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা। বন্যা কবলিত এলাকায়  মানুষের দুর্ভোগ এখনো রয়েছে। পানি কমায় নতুন করে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন আতঙ্ক। চলমান বন্যায় জেলার চার উপজেলার ২৯টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পানি ওঠায় ১৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩টি দাখিল মাদ্রাসাসহ মোট ১৫৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তলিয়ে যায় আউশ ধান, পাট, ভূট্টা, বীজতলা ও শাকসবজিসহ ৬ হাজার ৪৩৬ হেক্টর কৃষি জমির ফসল। বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে মৎসখাতেও।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায়  ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৫ সেমি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেমি, ঘাঘট নদীর পানি ৬৪ সেমি ও করতোয়ার পানি হ্রাস পেয়ে বিপৎসীমার ১০৫ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে তিস্তা নদীর পানি ৭ সেমি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমার ৩৮ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, গাইবান্ধার সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

বিডি প্রতিদিন/এএম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর