১৬ জুলাই, ২০২৪ ১৯:৩৫

বিপৎসীমার নিচে যমুনার পানি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:

বিপৎসীমার নিচে যমুনার পানি

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমলেও এখনো চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের অনেক বসতভিটা পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। পাট, কলা, ঘাস ও কচুসহ শাক সবজি ক্ষেত তলিয়ে থাকায় সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট অনেকস্থানে ডুবে থাকায় চলাচলেও নানা সমস্যা হচ্ছে। কিছু বসতভিটা থেকে পানি নামলেও কর্দমাক্ত স্যাতস্যাতে পরিবেশ বিরাজ করছে। পানি ও স্যাতস্যাতে পরিবেশে হাটাচলা করায় বানভাসীরা হাত-পা ঘাসহ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। আয়-রোজগার না থাকায় ঠিকমতো খাদ্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারছে না। অন্যদিকে পানি কমলেও কাজিপুরের খাসরাজবাড়ী, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর, সদরের কাওয়াকোলা, গাছাবাড়ী, এনায়েতপুরের আড়কান্দি, শাহজাদপুরের কৈজুরী, পাঁচিল ও চৌহালী উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন বসতভিটা, ফসলী জমি, মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থান বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে ভাঙন ও বন্যা কবলিতরা অর্থ ও খাদ্য সংকটে ভুগছে। ভাঙন কবলিতরা ভাঙনরোধে ব্যবস্থা ও বন্যা আক্রান্তরা আর্থিকসহ খাদ্য সহায়তা কামনা করেছেন। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, ইতোমধ্যে বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে ১৭৪ মে.টন চাল ও ৫ লক্ষ টাকা এবং ৩শ শুকনো খাবার প্যাকেট বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও পানি কমলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করে ডি ফরম পূরণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সহায়তা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।   

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনার পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পানি হ্রাস পাবে। পানি কমা ও বাড়ার সাথে যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিচ্ছে তার মধ্যে কিছু এলাকায় জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলে ভাঙনরোধে কাজ করা হচ্ছে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর