বগুড়ায় চলমান প্রেক্ষাপটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পরিবহনসহ বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়ায় যারা ধ্বংসলীলা চালিয়েছে সেই সকল দুস্কৃতিকারীদের কোন ভাবে ছাড় দেয়া যাবে না। সেই সাথে আর কোন বিশৃঙ্খলা ঘটতে দেয়া হবে না। বগুড়া জেলা জুড়ে প্রশাসন সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। বগুড়াকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসক সভাকক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে যারা তান্ডব চালিয়েছে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রশাসন থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দুস্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মাঠে রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, বগুড়ার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, গোয়েন্দা সংস্থা এবং পরবর্তীতে সশস্ত্র বাহিনী আমাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। বগুড়ায় যে সমস্ত ধ্বংসলীলা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছিল সেগুলো সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি পরিবহন সেক্টরকেও নিরাপত্তা রাখার যথেষ্ট চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া বাজার এবং মার্কেটগুলো নিরাপদ রাখতে পুলিশ প্রানপন চেষ্টা করেছে। আন্দোলনের প্রথম যেদিন সাতমাথায় হামলা চালানো হয়েছিল সেদিন অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা কাউকে আঘাত না করে পুরো শহরটাকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছেন। এটাকে পুঁজি করে কোন অস্বাদু চক্র যাতে আমাদের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা অস্থিতিশীল না করতে পারে। আমাদের বাজারকে উর্দ্ধমুখী না করতে পারে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ যারা গত কয়েকদিন যাবৎ কারফিউ এর কারণে কাজ করতে পারেনি তাদের ক্ষতি পোষাতে সকলের আন্তরিকতা প্রয়োজন। আজ থেকে যে সময় পর্যন্ত কারফিউ সিথিল থাকবে আপনারা আপনাদের দোকান, শপিংমল, পরিবহন সেক্টর, পণ্য আদান-প্রদানসহ সকল বিষয় স্বাভাবিক রাখবনে। স্বাভাবিক রাখতে সব ধরণের সহযোগিতা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম