২৪ জুলাই, ২০২৪ ২১:৫৫

যশোরে রেণু-পোনা উৎপাদনে ধস

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে রেণু-পোনা উৎপাদনে ধস

কারফিউসহ বিরাজমান পরিস্থিতিতে যশোরে মাছের রেণু ও পোনা উৎপাদনে ধস নেমেছে। জেলার সবগুলো হ্যাচারি এখন প্রায় বন্ধ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক সপ্তাহে যশোরের হ্যাচারি মালিকদের অন্তত ১৫ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।

যশোর হ্যাচারি মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, দেশে সাদা মাছের রেণু ও পোনার মোট যে চাহিদা, তার প্রায় ৭০ শতাংশ যশোরের হ্যাচারিগুলো থেকে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমের শুরুতেই প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহ ছিল। ফলে অর্ধেক মৌসুম হ্যাচারিগুলোতে কোনো রেণু ও পোনা উৎপাদন হয়নি। এরপর বৃষ্টি শুরু হলে তারা উৎপাদনে যান।

তারা আশা করেছিলেন, বাকি অর্ধেক মৌসুমে প্রথম দিকের ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও কারফিউসহ বিরাজমান পরিস্থিতিতে তারা দেশের কোথাও মাছের রেণু ও পোনা সরবরাহ করতে পারছেন না। হ্যাচারিগুলোতে ইতিমধ্যেই যেসব রেণু ও পোনা উৎপাদন করা হয়েছিল, সেগুলো হ্যাচারিতেই মারা যাচ্ছে। ফলে হ্যাচারি মালিকরা নতুন করে রেণু ও পোনা উৎপাদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

যশোর হ্যাচারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদ গোলদার বলেন, মাছের রেণু ও পোনা উৎপাদনের এই ভরা মৌসুমে গত এক সপ্তাহ ধরে তারা দেশের কোথাও রেণু-পোনা পাঠাতে পাড়ছেন না। সম্পূর্ণ স্থবির হয়ে আছে এই সেক্টর।

তিনি বলেন, যশোরে ছোট-বড় মিলিয়ে ৭৫টি হ্যাচারি আছে। গত এক সপ্তাহে এসব হ্যাচারি অন্তত ১৫ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ৭৫টি হ্যাচারির সাথে জড়িত মালিক, শ্রমিক, কর্মচারী ও বিপণন প্রক্রিয়ার সাথে লক্ষাধিক পরিবারের জীবন জীবিকা জড়িত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বিপুল পরিমাণ মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।

যশোর জেলা মৎস্য অফিসের সহকারী পরিচালক মাহবুবুর রহমান রেণু-পোনা উৎপাদনকারীদের এই সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এটা সাময়িক সময়ের সমস্যা। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই সবাই মিলে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

সর্বশেষ খবর