২৫ জুলাই, ২০২৪ ১৮:৪১

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, দুই উদ্ধারকারীসহ এখনো নিখোঁজ ৩

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, দুই উদ্ধারকারীসহ এখনো নিখোঁজ ৩

ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের শাহপরীরদ্বীপ গোলারচরের মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় দুইজন উদ্ধারকারীসহ এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছে।

এ ঘটনায় ১৬ জন উদ্ধার হলেও উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে কোস্টগার্ডের চৌকিতে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে দ্বীপবাসী। এ ঘটনায় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। গুলিতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছে।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে নিত্যপণ্য ও যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ৬৫ দিন মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে সেন্টমার্টিনের সাদ্দাম হোসেনের মালিকানাধীন এফবি সাদ্দাম টেকনাফ ঘাটে ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ট্রলারটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রলারটি দুপুর আড়াইটার দিকে শাহপরীরদ্বীপ অতিক্রম করে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় পৌঁছালে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ঘটনার পর পরই সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, কয়েকটি সার্ভিস বোটযোগে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত ১৬ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও একজন নিখোঁজ রয়েছে।

নিখোঁজ নুর মোহাম্মদ সৈকত (২২) সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের বাসিন্দা ও টেকনাফ সরকারি কলেজের ছাত্র।

এদিকে, ট্রলারডুবির পর উদ্ধার করতে যাওয়া একটি স্পিডবোট ডুবে গেলে উদ্ধারকারী মো. ফাহাদ (২৮) ও মো. ইসমাইল (২৭) সেন্টমার্টিন পশ্চিম কোনার পাড়ার মৃত আজম আলীর ছেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এসময় স্পিডবোটে থাকা অপর তিনজন রাত ১০টার দিকে সাঁতরে শাহপরীরদ্বীপ ও সাবরাং উপকূল দিয়ে তীরে ওঠে। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন মো. জাহাঙ্গীর।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর