২৭ জুলাই, ২০২৪ ২১:৩৩

২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করছেন ৩ ভাই

শেখ রুহুল আমিন, ঝিনাইদহ

২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করছেন ৩ ভাই

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাথানগাছি গ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে হাতে তৈরি ক্রিকেট ব্যাট তৈরির কারখানা। আপন তিন ভাই তিনটি কারখানা থেকে প্রতিদিন ২ শতাধিক ছোট-বড় ব্যাট তৈরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন।

২৪ বছর ধরে তারা এই ব্যাট তৈরির কাজ করছেন। কর্মসংস্থান করেছেন ১০/১৫ জনের। উপজেলার বাথানগাছি গ্রামের রাজেন্দ্রনাথ, সাধন দাস ও শ্যামল দাস গড়ে তুলেছেন এই ব্যাট তৈরির কারখানাটি।

সরেজমিন উপজেলার মান্দাড়বাড়ীয়া ইউনিয়নের বাথানগাছি মিস্ত্রি পাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, একটি বাড়িতে পাশাপাশি তিনটি ব্যাট তৈরির কারখানা। কোথাও পড়ে আছে কাঠ, কোথাও ছোট ছোট কাটিং মেশিন, ১৫ জন কর্মচারীর কেউবা ব্যাটের কাঠ পরিষ্কার করছেন, কেউবা ব্যাটে কাভার পরাচ্ছেন।

কথা হয় একটি কারখানার মালিক রাজেন্দ্রনাথের সাথে। তিনি জানান, ২৪ বছর ধরে তারা তিন ভাই তিনটি কারখানা পরিচালনা করছেন। প্রতিদিন এই কারখানা থেকে ১০০ থেকে ১৫০টি বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেট ব্যাট তৈরি করা হচ্ছে। তাদের কর্মচারী আছে ১৫ জন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্রেতারা তাদের অগ্রিম ব্যাট অর্ডার দেন। প্রকার ভেদে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে তারা ব্যাট তৈরি করেন। একটি ব্যাটে গড়ে ৪০/৫০ টাকা লাভ থাকে বলে তিনি জানান।

রাজেন্দ্রনাথ আরও জানান, তারা মুলত ঝিনাইদহ আরাপপুর থেকে ব্যাট তৈরির কাঠ সংগ্রহ করে থাকেন। এরপর কাঠগুলো বাড়িতে এনে ভালো করে শুকিয়ে নেন। তারপর এগুলো ছোট কাটার মেশিন, পরিষ্কার করার মেশিনে কাজ করে আটা দিয়ে ব্যাটগুলো সেট করা হয়। এরপর এগুলো ভালোভাবে শুকানোর পর তার উপরে স্টিকার লাগিয়ে বাজারজাত করে থাকেন।

ক্রিকেট ব্যাট তৈরি কারখানায় কর্মরত কর্মচারীরা জানান, তারা অনেক দিন ধরে এই ব্যাট তৈরির সাথে জড়িত। প্রতিদিন ৪০০-৫০০ টাকা হাজিরায় কাজ করেন। এখানে প্রতিদিন ছোট-বড় সাইজের ব্যাট তৈরি করা হয়। যারা ক্রিকেট খেলেন, তারা প্রতিনিয়ত এখান থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে যায়। এছাড়াও ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা এই কারখানা থেকে ব্যাট কিনে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে থাকেন।

শ্যামল দাস জানান, তাদের এই কারখানা আরও বড় করতে চান। তাদের কারখানায় তৈরিকৃত ব্যাটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আমরা অর্ডার অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারি না। তবে সরকার কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সহযোগিতা করলে এই কারখানা আরও বড় আকারে করতে পারতেন।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর