১৭ আগস্ট, ২০২৪ ২০:৪৬

বেহাল সড়ক, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বেহাল সড়ক, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটে প্রবেশ সড়কটির বেহাল দশা। খানা-খন্দে ভরা এই সড়কে কার্পেটিং ও খোয়া উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি নামলেই গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। ফলে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে ঐতিহ্যবাহী ধাপ সুলতানগঞ্জ হাট অবস্থিত। বগুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে হাটটির অবস্থান হওয়ায় হাটে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার ধাপহাট সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

শনিবার সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, সড়কটির অবস্থায় করুণ। মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ১ কিলোমিটার সড়কটির কার্পেটিংয়ের পাথরসহ খোয়া উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কটি শুধু ধাপহাটই নয়, বগুড়া-দুপচাঁচিয়া ভায়া মোলামগাড়ী সড়ক নামে পরিচিত। এই সড়ক দিয়ে যাত্রীবাহী বাস চলাচল করে। বর্ষায় একটু বৃষ্টিতেই গর্তগুলোতে পানি জমে থাকছে। সড়কটির দু’পাশে ড্রেন না থাকায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে মুষলধারে বৃষ্টিতে রাস্তার উপর দিয়েই পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হাটে আগত হাটুরিয়া ছাড়াও সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দুপচাচিয়া উপজেলা সদরের ঐতিহ্যবাহী ধাপহাট। সপ্তাহে দু’দিন বৃহস্পতিবার ও রবিবার হাট বসে। হাটবারগুলোতে শুধু উপজেলাই নয়, বগুড়া জেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মানুষরা এই হাটে কেনাকাটার জন্য আসেন। বিশেষ করে কুরবানির হাটগুলোতে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলার গরু ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা হাটে ভিড় করছে। বিশেষ করে হাট থেকে কুরবানির গরু, ছাগল ক্রয় করে ভটভটি, ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বহনের সময় এই দুর্ভোগ আরও বেশি। অনেক সময় খানা-খন্দে ভড়া এসব গর্তে ট্রাক ভটভটি আটকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। হাটটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভার রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম। প্রতি বছর হাট ইজারা থেকে প্রায় ৮ কোটি টাকা পৌরসভা রাজস্ব আয় করে থাকে।

দুপচাঁচিয়া সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোয়াজ্জিম হোসেন জানান, মেইল বাস্ট্যান্ড ধাপহাট সড়কটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ধাপহাট পৌরসভার রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম। অথচ রাস্তাটির উন্নয়নে পৌরসভা উদাসীন। তিনি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

উপজেলা প্রকৌশলী রুবেল হোসেন জানান, দুপচাঁচিয়া মেইল বাসস্ট্যান্ড থেকে ধাপসুলতানগঞ্জ হাটে প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি ইতিপূর্বেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় ছিল। পরবর্তীতে সড়কটি দুপচাঁচিয়া পৌরসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়। পৌর এলাকায় স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজ করার বিধান নেই।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর