শিরোনাম
১৯ আগস্ট, ২০২৪ ১৫:৩৭

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসির আদেশ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণ নরপতি গ্রামের সিএনজি অটোরিক্সা চালক আব্দুল জলিলকে হত্যার ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জের আলোচিত সন্ত্রাসী ইলিয়াছ মিয়া ওরফে ছোটনকে ফাঁসির আদেশ এবং ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আজিজুল হক এই সাজা প্রদান করেন। সাজাপ্রদানকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের স্টেনোগ্রাফার মুখলেছুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল ভাড়া নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে আব্দুল জলিলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ইলিয়াছ মিয়া। ওই দিন সন্ধ্যায় বাহুবল উপজেলার ইসলামাবাগ গ্রামের জনৈক আব্দুল্লাহ এর উঠানে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই খলিলৃর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই বাহুবল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ ইলিয়াছ মিয়াকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে। পরে বাহুবল থানার এসআই বিশ্বাস মোজাফ্ফর আহমেদ ও ওসি সৈয়দুজ্জামান তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১০ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ৬ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত উপরোক্ত রায় প্রদান করেন। একই সাথে আসামি চাইলে ১ সপ্তাহের মাঝে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন। 

এদিকে, সন্ত্রসাী ইলিয়াছ মিয়া ওরপে ছোটনের বিরুদ্ধে শায়েস্তাগঞ্জের আলোচিত সুজন হত্যা মামলার বিচারও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আরও বিভিন্ন মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ছিল। এই মামলা দায়েরের পর সে ভারতে পালিয়ে যায়। পরে দেশে আসার পর কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়। পরে আবারও পলাতক হলে গত ২৫ জুলাই শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে ২০১৫ সালে ঈদুল আজহার নামাজের পর হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের অভ্যন্তরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জি কে গউছকে হত্যার চেষ্টা করলে সারা দেশে আলোচিত হয়। সে সময় জি কে গউছ অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। এসব মামলায় সে ২০১৬ সালে জামিনে বেড়িয়ে এসে প্রায় শতাধিক মাইক্রোবাস, এ্যাম্বুলেন্স সাইলেন্সার বাজিয়ে জেলা জজ কোর্টে মিছিল নিয়ে আসে। এ ঘটনায়ও একটি মামলা হয়। 

রাাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট সালেহ উদ্দিন ও এপিপি এডভোকেট পারভীন আক্তার বলেন, এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ খুশি। এতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। অপরাধীরা ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করতে সাবধান হবে। 

বিডি প্রতিদিন/এএ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর