কয়েকটি হেলিকপ্টার ফেনীর আকাশে উড়তে দেখা গেছে। বন্যায় পানবন্ধিদের উদ্ধারে হেলিকপ্টারগুলো এসেছে বলে জানা গেছে। গতকাল বিকেল থেকে ফেনীতে উজানের পানি আসা শুরু হয়। বর্তমানে ফেনী শহর প্রায় পুরোপুরি পানির নিচে তলিয়ে আছে। শহরজুড়ে চলছে আত্ননাদ। বাঁচার জন্য মানুষ যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
মহাসড়কের ফেনীর লালপুলে গতকাল রাতে পানির স্রোতে কয়েকটি গাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। শহরের প্রায় প্রতিটি একতলা বাড়ি পানির নিচে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কয়েকটি মৃতদেহের ফুটেজ দেখা গেলেও বিস্তারিত জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে গত তিনদিনে ফেনীতে অনকেই মৃত্যু বরণ করেছে। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে গলা পর্যন্ত পানি। ঘর থেকে কেউ বের হতে পারছে না। প্রতিটি মসজিদে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য ও উঁচু ভবনে উঠে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। সদর উপজেলা, সোনাগাজী উপজেলার ও দাগনভূঞায়ায়ও একই অবস্থা।
পরশুরাম ও ফুলগাজীর বন্যার পানি কমছে বলে জানা গেছে। তবে পুরো জেলায় বন্যা পরিস্থিতে অবনতির দিকে। ফেনী শহর এখন পানির নিচে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেল সড়কের ফেনীর অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। শতাধিক উদ্ধারকারী ইঞ্জিনচালিত বোর্ড, স্পিডবোট ও নৌকা ফেনীতে এসেছে, সেগুলো সড়ক পথের উপরে ওঠা পানি দিয়ে গ্রামাঞ্চলের দিকে উদ্ধার কাজের জন্য প্রবেশ করছে। মিরসরাইয় পর্যন্ত অনেক বোর্ড আসলেও ফেনীর উদ্দেশ্য আসলেও মহাসড়কে প্রচুর পানি থাকায় ফেনী পর্যন্ত আসা সম্ভব হচ্ছে না।ফেনীর ফাজিলপুর থেকে লালপোল পর্যন্ত মহাসড়কের ফেনীর অংশে বুক পর্যন্ত পানি থাকায় গতকাল বিকেল থেকে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় প্রশাসনসহ কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা ট্রাকে করে বোট, স্পিডবোর্ড নিয়ে ফেনীতে উদ্ধার তৎপরতায় নেমেছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম