কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের গ্রেফতারের খবরে তার এলাকা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ জনতা।

সোমবার সকালে গোলাপের নিজ এলাকা উপজেলার উত্তর রমজানপুরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় এ মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, জীবিকার তাগিদে আমেরিকা গিয়ে ট্যাক্সি চালাতো গোলাপ। অতিরিক্ত আয়ের জন্য মাঝে মাঝে পিৎজা ডেলিভারিও করতেন তিনি। কিন্তু শেখ হাসিনার সান্নিধ্যে বদলে যায় গোলাপের জীবন। এলাকায় রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও হয়ে ওঠেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। পাশাপাশি ছিলেন শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী।

আর এই সুবাদে কামিয়ে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে পেয়ে যান মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার টিকিট এবং হয়ে যান সংসদ সদস্য। এরপর তার দুর্নীতি যেন আকাশ ছুঁতে শুরু করে।

হাসিনা সরকারের পতনের পর রবিবার গোলাপ গ্রেফতার হলে তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশকিছু সচেতন মহল বলেন, গোলাপের দুর্নীতির অনেক চিত্র কালকিনিতে রয়েছে। আমাদের দাবি বর্তমান সরকার গোলাপের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করবেন।

মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, ক্ষমতা পেয়ে গোলাপ জমি দখল, অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানুষের উপর জুলুমসহ নানা অপকর্ম করেছেন। যার কারণে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর এলাকাবাসী মিষ্টি বিতরণ করেছেন। আনন্দ উদযাপন করছেন। এটা থেকে ক্ষমতাশীনদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।

বিডি প্রতিদিন/এমআই