গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরসভা ভবন কক্ষে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটতরাজ করার ফলে কক্ষ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। পাঁচটি কক্ষ পরিষ্কার করে কোনো রকমে জরুরি সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনগণ পৌরভবনে হামলায় ভবনের ২৯টি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ করা হয়। অগ্নিকাণ্ডে বিভিন্ন আসবাবপত্র,কম্পিউটার ও লেপটপ থাকা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ অনেক ফাইল পুড়ে যায়।
এ ছাড়াও আলমারি, টেবিলের উপরও রাখা অনেক কাগজপত্র পুড়ে যায়। ময়লা ও বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য তিনটি গার্বেজ ট্রাক পুড়ে এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পৌরসভার বাসিন্দারা। গত এক সপ্তাহ আগে পৌর সভার কর্মচারী ও কাউন্সিলররা নিজেরা অর্থ দিয়ে চারটি কম্পিউটার, প্রিন্টার, টেবিল চেয়ার কিনে জরুরি সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি কক্ষে কয়েকটি বিভাগের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। আর বাজারের ময়লা ও বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য ট্রাক ভাড়া করে শহর পরিষ্কারের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিদিন।অপসারণকৃত পৌরসভার মেয়র পদে প্রশাসক হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হাফিজা জেসমিন দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি গত মঙ্গলবার ক্ষতবিক্ষত ভবন কক্ষ পরিদর্শন করেছেন এবং চলমান জরুরি সেবা কার্যক্রম সকল কর্মকর্তাদের চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগে সেনাবাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে নিয়েছেন। পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ৯০০ টাকার প্রাথমিক ক্ষতির পরিমান উল্লেখ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে বলে পৌরনির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুল হক জানান।
বিডি প্রতিদিন/এমআই