পূর্বঘোষিত রুটিন অনুযায়ী গাইবান্ধা সদর উপজেলার মেঘ ডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে বিদ্যালয়ে যান। কিন্তু পরীক্ষা দিতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও পরীক্ষা না হওয়ায় হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরতে হয় শিক্ষার্থীদের।
শুধু মেঘ ডুমুর স্কুলই নয় উপজেলার পার্বতীপুর ক্লাস্টারের অধীনে গড়দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৮টি বিদ্যালয়ের একই অবস্থা। দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার গাফিলতির কারণে প্রশ্নপত্র ছাপা না হওয়ায় এদিন ওই বিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা হয়নি।
বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকেরা বলছেন, সাধারণত পরীক্ষা শুরুর দু’একদিন আগেই বিদ্যালয়ে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।মেঘ ডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘সকাল ১০টায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। কিন্তু আমরা প্রশ্নপত্র পাইনি। পরে আমাদের ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসারের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে ফোন দেই। তিনি জানান প্রশ্নপত্র এখনও রেডি হয়নি। আজকের পরীক্ষা স্থগিত।’
বিদ্যালয়গুলোতে কেন প্রশ্নপত্র সরবরাহ হলো না- জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এই ক্লাস্টারের জন্য আলাদা প্রশ্নপত্র। আমি প্রিন্ট পাবো রবিবার; সেদিন থেকে পরীক্ষা শুরু করতে পারব ইনশাআল্লাহ।’
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাকিরুল হাসান বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা অফিসারের গাফিলতির কারণে ক্লাস্টারের অধীন বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা শুরু করা যায়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলা ১১টার দিকে পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়টি আমাকে জানান। বিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা রবিবার থেকে অভিন্ন রুটিনে নেওয়া হবে। আর আজকের স্থগিত পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে। সেইসাথে এ গাফিলতির ব্যাপারে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/শআ