লক্ষ্মীপুরে ধীরগতিতে নামছে পানি, বাড়ছে দুর্ভোগ। চলমান বন্যায় জেলার বিভিন্ন খাল-নালা দখল দূষণে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন নিম্নাঞ্চলের ৮ লাখ বাসিন্দা। মেঘনা নদীর পানির উচ্চতা বিপদ সীমার নিচে প্রবাহিত হলেও ডাকাতিয়া নদী, রহমতখালি, ওয়াপদা ও ভুলুয়া খালসহ অধিকাংশ খালের আশে পাশে বসবাসরত বাসিন্দারাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বন্যায়। থেমে থেমে বৃষ্টি ও নোয়াখালী-ফেনীর পানি ঢুকে এখনও প্লাবিত রয়েছে অনেক এলাকা।
জানা যায়, বর্তমানে ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়ণকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। কিছু মানুষ আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে। তবে বন্যায় পানিবন্দি অধিকাংশ মানুষ চুরি-ডাকাতির ভয়ে বাড়িঘর ছাড়েনি। জীবন যুদ্ধে লড়ছেন এ উপকূলের বাসিন্দারা। অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছেন তারা।
এখনো পানিবন্দী রয়েছে সদরের ২১টি ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলের ৯টিসহ ১৫টি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। একই সঙ্গে কমলনগর, রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জের মানুষ। জীবনে বাঁচার আকুতি ও ত্রাণের আর্তনাদ করছেন জেলার লাখো বন্যার্ত মানুষ। ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠন। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত ত্রাণ মিলছেনা দুর্গম এলাকায়, না পাওয়ার আক্ষেপ রয়েছে অনেকের।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুরে বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শণে এসে ত্রাণ কার্যক্রম নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খাল-নালা দখল দূষণ ও বৃষ্টির পানিতে বন্যা হয়েছে জানিয়ে যার যার আঙ্গিকে দখল অপসারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন। দ্রুত এ বিপর্যয় কেটে উঠাসহ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন করা হবে বলে জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএম