জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির সাবেক এমপি সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, যারা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। রবিবার দুপুরে ফেনীর ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পর শহরের একটি মিলনায়তনে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ছাত্রসমাজের আন্দোলনের জলস্রোতে ফ্যাসিবাদের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছে। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জনতা একাকার হয়ে গেছে। আন্দোলনের মুখে শুধু পদত্যাগ নয়, দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। যেই আকাঙ্খা নিয়ে একাত্তরে স্বাধীন হয়েছি সেটিও অর্জন হয়নি। ফ্যাসিবাদবিরোধী এই সংগ্রাম কোন দল বা কোন নেতার নেতৃত্বে হয়নি, ছাত্ররা করেছে। বিগত ৪টি নির্বাচনে ভোট না হওয়ায় ফ্যাসিবাদ জন্ম নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বন্যাটি অপ্রত্যাশিত। মানবসৃষ্ট। প্রতিবেশি দেশ 'ভালোবেসে' বেশি পানি দিয়েছে। এটা আমরা হজম করতে পারিনি। ভারত আমাদের কল্যাণকামী হতে পারত। পানি ব্যবস্থাপনা পাকিস্তান আমলেও সমাাধান হয়নি, বাংলাদেশ সরকারও পারেনি। বর্তমান দেশপ্রমিক সরকারকে ভারতের সাথে আলোচনা করে এটা সমাধানের দাবি জানাই। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সকল সময়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সমতার ভিত্তিতে সুসম্পর্ক করতে চাই। রাজনৈতিকভাবে ভারত একটি দলকে সমর্থন করায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।দলটির জেলা আমির এ.কে.এম শামছুদ্দীনের পরিচালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে কুমিল্লা মহানগর আমির দ্বীন মোহাম্মদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া ও এডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, জেলা নায়েবে আমীর আবু ইউসুফ, সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হান্নান, প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম আবদুর রহীম, রাজনৈতিক সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক মানিক, ছাত্র শিবিরের শহর সভাপতি শরীফুল ইসলাম, সেক্রেটারি ওমর ফারুক, জেলা সভাপতি ইমাম হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দল জামায়াত উল্লেখ করে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. তাহের আরো বলেন, অন্যায়ভাবে জামায়াতের সকল নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়েছে। আদর্শিক দল হিসেবে প্রতিশোধ নেয়া প্রয়োজন মনে করি না। তিনি আরো বলেন, অবাধ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন হবে। অন্তবর্তী সরকার প্রতিটি বিষয়ে সংস্কারের কথা বলছে। মৌলিক কিছু বিষয়ে সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। হিন্দুদের বহু সম্পদ অন্যের হাতে চলে গেছে। এরা কারা, খোঁজ নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এএ