কুমিল্লার বিভিন্ন রেলস্টেশনের ফ্লাটফর্মে আশ্রয় মিলেছে গবাদি পশুর। সেখানে গরু রাখতে পেরে খুশি খামারিরা। স্থানীয় সূত্র জানায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর বাঁধ ভেঙ্গে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে প্লাবিত হয় বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও আদর্শ সদর উপজেলার কিছু অংশ। এছাড়া কুমিল্লা দক্ষিণের লাকসাম,মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ। এতে প্রাণে বাঁচাতে বাড়ি ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেন মানুষজন। এদিকে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েন খামারিরা। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রসুলপুরসহ আশপাশের এলাকার লোকজন গরুর আশ্রয় নিতে চলে আসেন রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে। একই দৃশ্য দেখা গেছে মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা রেল স্টেশনসহ কয়েকটি স্টেশনে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে বন্যাদুর্গত মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশুও আশ্রয় নিয়েছে। বেঁধে রাখা হয়েছে শত শত গরু। হঠাৎ দেখলে মনে হবে রেলওয়ে স্টেশন যেন গবাদিপশুর খামার।
আদিবা ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আরিফুর রহমান বলেন, আমার ফার্মে ১৩০ টি গরু ছিল। হঠাৎ করে যখন পানি বাড়তে শুরু করে তখন কোন পথ খুঁজে না পেয়ে আমরা রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে গরুগুলো নিয়ে আসি। স্টেশন কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে গরু রাখার সুযোগ করে দেন।
খামারি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা গরু গুলো স্টেশনে নিয়ে আসি। কিন্তু গরুর খাবার ২ দিন ধরে ছিল না। পরে এলাকার লোকজন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ফিড ব্যবসায়ীরা কিছু গোখাদ্যের ব্যবস্থা করে দেন।
খামারি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বেশির ভাগ গরু এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তবে প্রাণী চিকিৎসকরা এসে গরু দেখে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
সদর রসুলপুর রেলওয়ে স্টেশনের সহকারি স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গোমতীর বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় বন্যার পানি বাড়তে থাকলে এলাকার লোকজন শত শত গরু নিয়ে স্টেশনে এসে উঠে। পরে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে গরু রাখার জন্য স্টেশনটি ছেড়ে দেই।