শিরোনাম
৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:১০

নেত্রকোনায় হাসপাতাল নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের অসন্তোষ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় হাসপাতাল নিয়ে স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের অসন্তোষ

নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়কের কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় হাসপাতালের সেবা প্রদান নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়। এতে স্বাবলম্বীর সহযোগিতায় জেলা স্বাস্থ্য আধিকার ফোরাম ও যুব ফোরামের আয়োজনে ২১ সদস্যের উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সন্তোষজনক সেবা প্রদানের তথ্য না পাওয়ায় সকলেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 

হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার আবু সাঈদ মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় বক্তব্য রাখেন, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ একরামুল হাসান, বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের ম্যানেজার রাজেশ অধিকারী, সমন্বয়ক মাহরুবা খানম, মোর্শেদ আলম, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সদস্য মো. অহিদুর রহমান, কোহিনুর বেগম, এম মুখলেছুর রহমান খান, সুফিয়া আক্তার, যুব ফোরামের সমন্বয়ক সুমাইয়া আক্তার সহ সমন্বয়ক আজিজুর রহমান সায়েমসহ অন্যান্যরা। 

সভায় ১২ জন নারী ও ১১ জন পুরুষের উপস্থিতিতে চিকিৎসা প্রদানকালে চিকিৎসকরা ঔষধ কোম্পানির সাথে সাক্ষাৎ প্রদান, রোগীদের মানসম্মত খাবার ও পরিমাণে কম দেয়া, বিদুৎ সমস্যা নিরসনে জেনারটের থাকা সত্বেও ব্যবহার না করা, রোগীদের পর্যাপ্ত ঔষধ প্রদান না করা, প্যাথলজি সেবা প্রদানে যন্ত্র থাকা সত্বেও রোগীদের সেবা না পাওয়া, হাসপাতাল চলাকালে কতিপয় চিকিৎসকরা ক্লিনিকে সময় কাটানো, ইমারজেন্সিতে সহকারীদের দিয়ে ব্যবস্থাপত্র লিখা, দরজা থেকে বের হতেই ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধরা রোগী আটকে ব্যবস্থাপত্রের ছবি তোলা, অপরিস্কার অপরিছন্ন পরিবেশ, অক্সিজেন মাস্ক পরিষ্কার না করেই বিভিন্ন জনের মুখে লাগানো, হাসপাতালের ভেতরে বিভিন্ন অটো রিক্সা রাখায় প্রবেশে বিঘ্ন, বিভিন্ন প্রতিষেধক না থাকা, সুপেয় পানি ব্যবহারে কোন নির্দেশনা না থাকার বিষয়সহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়। 

বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের ম্যানেজার রাজেশ অধিকারী, সমন্বয়ক মাহরুবা খানম, মোর্শেদ আলম জানান, অনেক সময় দেখা যায় বারদ্দ থাকলেও সেগুলোর সঠিক পরিচর্যা হয় না। আবার অনেকেই বরাদ্দ ছাড়াও নিজ নিজ দায়িত্বে হাসপাতালের সেবার মান উন্নত করেন। এখানে রোগীদের খাবারের বিষয়ে যেসকল অভিযোগগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন কঠোর নজরদারীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো জরুরী। সেইসাথে বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে পুলিশি ছাড়াও ঔষধ প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম দালালদের দৌরাত্ম বন্ধে নিজেদের হস্তক্ষেপগুলো জোড়ালো হলেই অনেক সমস্যা নিরসন সম্ভব। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর