৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:০৩

পাঠাগার থাকলেও নেই বই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

পাঠাগার থাকলেও নেই বই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নে ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঠাগারের একটি ঘর নির্মাণ করার পর ৩ বছর কেটে গেলেও পড়ার জন্য নেই কোনো বই। ফলে পাঠাগারের জন্য নির্মিত ঘরটি ফাঁকা পড়ে আছে নির্মাণের পর থেকেই। আর বই না থাকায় পাঠাগারটিও নিয়মিত খোলা হয় না। 

জানা গেছে, সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুর মোড়ে কিছু অংশ জমি বছরের পর বছর অবৈধ স্থাপনায় অন্যের দখলে ছিল। তাই উপজেলা প্রশাসন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এবং স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে পাঠাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় পাঠাগারের জন্য ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৬ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৭ টাকা। পরে এই টাকা দিয়ে পাঠাগারের একটি ঘর নির্মাণসহ রং এবং দরজা-জানালা সব কিছুই করা হয়। এরপর আনুষ্ঠানিক পাঠাগার উদ্বোধন করেন গোবরাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আসজাদুর রহমান মান্নু। কিন্তু পাঠাগারের জন্য বই কেনার কোনো বরাদ্দই দেয়া হয়নি। 

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ক্ষোভের সাথে জানান, পাঠাগারের ঘরটি দীর্ঘদিন ধরে পরে আছে। সরকারের তরফ থেকে ঘরটি নির্মাণ করা হলেও এখানে বই নেই। যার কারণে নিয়মিত খোলাও হয় না পাঠাগারটি। তবে পাঠাগারটিতে বই রাখা হলে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়তে আসবে। পাশাপাশি দৈনিক পত্রিকাগুলোও এখানে রাখা হলে অনেকেই আসবে খবরাখবর জানতে। কিন্তু এসবের কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত কেউ নেয়নি। 

পাঠাগার নির্মাণ কমিটির সভাপতি ও গোবরতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইউসুফ আলী বলেন, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পাবলিক লাইব্রেরী নির্মাণ করা হয়। ঘরটি নির্মাণের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও বই কেনার জন্য কোনো বরাদ্দ ছিলো না। তারপরেও বাড়িতে আমার ব্যক্তিগত কিছু বই ছিলো সেগুলো এখানে রেখেছি পড়ার জন্য। কিন্তু পাঠাগারের ঘরটি খোলার জন্য লোকবল দরকার, সেটিও না থাকায় পাঠাগারটি নিয়মিত খোলা হয় না।  

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. তাছমিনা খাতুন বলেন, খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে, দ্রুত সেখানে বইয়ের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে সেখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে।


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর