১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:২২

দক্ষিণ কুমিল্লায় তিন সপ্তাহেও নামছে না বন্যার পানি

হেলে পড়ছে ঘর, ভাঙছে সড়ক, বাড়ছে রোগ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

দক্ষিণ কুমিল্লায় তিন সপ্তাহেও নামছে না বন্যার পানি

দক্ষিণ কুমিল্লার তিন উপজেলা লাকসাম, মনোহরগঞ্জ ও নাঙ্গলকোটে তিন সপ্তাহেও নামছে না বন্যার পানি। দীর্ঘ জলাবদ্ধতায় কাঁচাঘর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভেঙে যাচ্ছে সড়ক। এছাড়া বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। জলাবদ্ধতা নিরসনে খালের বাঁধ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৫ আগস্ট দক্ষিণ কুমিল্লায় পানি বাড়তে থাকে। এতে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়। তিন সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও ঘর-বাড়ি ও সড়কের পানি তেমন কমেনি। লাকসামের উত্তরদা ইউনিয়ন, গোবিন্দপুর ও আজগরা ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়। এই তিন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এখনও পানির নিচে রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মনপাল গ্রাম। গ্রামের অনেক সড়ক, বাড়ি ও দোকান এখনও পানির নিচে রয়েছে। মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ,সরসপুর,খিলা,লক্ষণপুর ,বাইশগাঁও ইউনিয়নেও মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। নাঙ্গলকোট উপজেলার সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ, মৌকারা, বটতলী ও জোড্ডা পূর্ব পশ্চিম ইউনিয়নের মানুষ এখনও পানিবন্দি।

লাকসামের মনপাল গ্রামের রুচিয়া বেগম বলেন, তার কাঁচা ঘর। জলাবদ্ধতার কারণে মাটি নরম হয়ে ঘর হেলে পড়েছে। ঘর মেরামত করার সামর্থ্য তার নেই।   

মনোহরগঞ্জ উপজেলার দাদঘর গ্রামের আবুল কালাম বলেন,এই এলাকার খালগুলো ভরাট করে বাড়ি ও দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। কোথাও মাছের ঘেরের জন্য খালে বাঁধ দেয়া হয়েছে। বাঁধ না কাটলে পানি সরবে না।

নাঙ্গলকোটে উপজেলার গোহারুয়া এলাকার রহিম মিয়া বলেন, পানি না সরায় মানুষের রোগ বাড়ছে।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোকসানা আক্তার বলেন, আমরা লাকসামে মেডিকেল ক্যাম্প করেছি। সেখানে গিয়ে দেখলাম অধিকাংশ রোগীর পায়ের পাতা ও আঙুলে ঘা হয়ে আছে। বয়স্কদের প্রেশারের সমস্যা আছে। এছাড়া জ্বর সর্দি কাশি ও পেটের পীড়া রয়েছে। এসব এলাকায় এরকম আরো মেডিকেল টিম আসা প্রয়োজন। 

কুমিল্লার অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, দক্ষিণ কুমিল্লায় বন্যার পানি ধীরগতিতে নামছে বলে জেনেছি। খালের বাঁধ সরানোসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলবো।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর