টানা দুইদিনের বৃষ্টিতে চকরিয়া-পেকুয়ার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে মাতামুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী, বিএমচর, কোনাখালী ও বদরখালী ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অন্তত ২০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে। এছাড়া আমন ধানের ক্ষেত ও শীতকালিন বিভিন্ন সবজির চারা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
মানকিপুর-সুরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক বলেন, মানিকপুর এলাকায় বৃষ্টিতে নিচু এলাকার অন্তত ২শতাধিক ঘরবাড়ি বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে পেকুয়ার ৭ ইউনিয়নের মধ্যে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা, রাজাখালী, উজানটিয়া ও মগনামা ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার লোকজন চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। অধিকাংশ চিংড়িঘের বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির ডুবে গেছে ধান ও সবজির ক্ষেত। এই উপজেলার প্রায় ১০ হাজার লোক পানি বন্দি রয়েছে।
এছাড়া বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় মাতামুহুরী নদীতে উজানের পানি নামলে রাতে বন্যার আশঙ্খা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এলাকার খোঁজখবর রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে ও নদীর তীরবর্তী অবস্থানরত লোকজন নিরাপদে সরিয়ে যেতে উপজেলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন সহায়তা করতে সবসময় প্রস্তত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/এএম