২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:০১

পাবনায় দুজনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটায় হত্যা

পাবনা প্রতিনিধি

পাবনায় দুজনকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি পেটায় হত্যা

পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় পৃথক দুটি ঘটনায় দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পাবনার সাঁথিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে এবং একই দিনে পূর্ববিরোধের জেরে সদর উপজেলায় একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার গোপালপুর এলাকায় ছাতকবরাট গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৭) ও পাবনা সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৫০)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সাঁথিয়ার গোপালপুর গ্রামের সাথে আমিনপুর থানার দ্বারিয়াপুর গ্রামের লোকজনের সংঘর্ষে একজন আহত হন। ওই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে রবিবার সাঁথিয়ার ছাতক বরাট গ্রামের আরিফুল ইসলামকে গোপালপুর ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। কাশিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশরাফুল ইসলাম যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে পূর্ববিরোধের জেরে পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আপন চাচাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই ভাতিজার বিরুদ্ধে। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদর উপজেলার চিথুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চাচা সাইদুল ইসলাম (৫০) সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম শেখের ছেলে। তিনি পেশায় কুলির কাজ করতেন। অভিযুক্ত দুই ভাতিজা হলো উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে তালহা ও তামিম।

ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান বলেন, রবিবার সন্ধ্যার দিকে কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন সাইদুল ইসলাম। চিথুলিয়া গ্রামে পৌঁছালে সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান করছিলেন মোহাম্মদ আলীর দুই ছেলে তালহা ও তামিম। চিথুলিয়া রাস্তায় নিহত সাইদুল ইসলামকে একা পেয়ে তার গতিরোধ করে হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায় তারা। সাইদুল ইসলামের চিৎকারে এলাকাবাসী ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান সাইদুল।

অভিযুক্ত দুই ভাতিজা তালহা ও তামিমের মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুটি ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত তালহা ও তামিমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

বিডি প্রতিদিন/জামশেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর