বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। এই কার্যক্রম যেন আবারও চালু হয় তা আমরা দেখছি। এখানে নতুন করে কিছু কাজ সংযোজন করতে হবে। এর জন্য নতুন করে টেন্ডারের আহ্বান করা হয়েছে। আশা করছি, বন্ধ হয়ে যাওয়া কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই পুনরায় চালু হবে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি রেলস্টেশনের বিভিন্ন অর্ধনির্মিত স্থাপনা ও রেল লাইন ঘুরে দেখেন।
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন অব চায়না (পিসিসিসি) নামের এক কোম্পানি এই প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিল। এই কাজটি করার ক্যাপাসিটি না থাকার পাশাপাশি কাজের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে তারা আংশিক কাজ করেই চলে গেছেন। যার ফলে পুরো কাজটা সম্পন্ন করতে নতুন করে দরপত্রের আহ্বান করা হয়েছে। এর ফলে কিছুটা কালক্ষেপণ হচ্ছে। এই রুটের কিছু কিছু স্থানে সামান্য ত্রুটি রয়েছে। যা আমরা অতি দ্রুতই সমাধানের চেষ্টা করছি।তিনি আরও বলেন, 'এই কাজটি শেষ হলে নারায়ণগঞ্জবাসী সহজেই ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবে। আশা করছি, আগামী ৬ মাসের মধ্যে নতুন করে দরপত্র আহ্বানসহ সকল প্রক্রিয়া শেষ হবে। যে রুটে এতদিন ১৬ জোড়া ট্রেন চলাচল করতো আমরা যেন আরও উন্নতি করতে পারি সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি। আমাদের কাজের মধ্যে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। রুট ঠিক না করলে ট্রেন ঠিকমতো চলতেও পারবে না আবার ট্রেনের সক্ষমতাও বাড়ানো যাবে না। তাই আমরা লাইনের প্রতি গুরুত্বারোপ করছি।'
রেলওয়ের অনেক জমি দখল থাকা প্রসঙ্গে নাজমুল ইসলাম বলেন, জেলা, উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে রেলওয়ের জমি রয়েছে। দখলে থাকা এই জমি উদ্ধার করতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রেলওয়ের জমিতে থাকা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেও আমরা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ রেলওয়ে ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে ৩৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্প গ্রহণ করেছিল। কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ালেও শেষ পর্যন্ত সেই কাজ শেষ করা হয়নি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ
