২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:২৩

মহিষের ‘কাঁচা দই’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি

ভোলা প্রতিনিধি

মহিষের ‘কাঁচা দই’ জিআই পণ্যের স্বীকৃতি

ভোলা জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলের থেকে মহিষের দুধ উৎপাদন ও সংরক্ষণ করে কাঁচা দই জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) পণ্য হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।জিআই-৫৫ নম্বরে কাঁচা দই রফতানি তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। চরাঞ্চলে হাজার হাজার  মহিষের দুধ সংরক্ষণ করে কাঁচা দইয়ের উৎপাদন শত বছরের ঐতিহ্য রয়েছে।

ভোলার ইলিশ জিআই পণ্য হিসেবে সমাদৃত। তারই ধারাবাহিকতায় মহিষের দুধের কাঁচা দই স্থানীয়ভাবে সমাদৃত থাকলেও সেটি এখন জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল। যা বাংলাদেশের জন্য গৌরবের। কাঁচা দই বাংলাদেশ থেকে বাণিজ্যিকভাবে রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইকে এবার অন্যভাবে চিনবে দেশ ও বিশ্ববাসী। কেননা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে বৃহৎ ব-দ্বীপ ভোলার মহিষের দুধ থেকে উৎপাদিত কাঁচা দই। 

পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান স্বাক্ষরের পরে ২৪ সেপ্টেন্বর বিষয়টি জানানো হয়। ভোলার শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতবছরে ১৯ ডিসেন্বর ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি,স্বাস্থ্য সম্মত। জেলার ইলিশ শাহাবাজপুর গ্যাসের জন্য পরিচিত ভোলা। মহিষের দই আগেও মানুষের কাছে প্রিয় ছিল, কিন্তু এটি জিআই পণ্য হিসেবে আগে স্বীকৃতি পায়নি। 

জেলার নয়া জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই কাঁচাদই এখন রফতানি করা যাবে। ভোলার মহিষের কাঁচা দই রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।

বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর