২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৫:১৯

মনোহরগঞ্জে সেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত

লাকসাম প্রতিনিধি

মনোহরগঞ্জে সেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত

মনোহরগঞ্জে সেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সড়ক সংস্কার করছেন এলাকার যুবকরা। উপজেলা সদর থেকে মনোহরগঞ্জ-লাকসাম সড়ক, খিলা-মনোহরগঞ্জ সড়ক, লালচাঁদপুর-বেরনাইয়া সড়ক, শাহশরীফ ডিগ্রী কলেজ সংলগ্ন সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে বন্যার ক্ষতচিহ্ন ভরাট করে যানচলাচল উপযোগী করতে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগে চলছে সংস্কার কাজ। যুবকদের শ্রম ঘামে একদিকে ভরাট হচ্ছে সড়কের ক্ষতচিহ্ন অন্যদিকে কমছে জনদুর্ভোগ। এসব সড়কে যান চলাচলে কিছুটা স্বস্থির কথা জানিয়েছেন যাত্রী ও পথচারিরা। যুবকদের এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।  

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার প্রধান সড়ক মনোহরগঞ্জ-লাকসাম সড়কের আশিরপাড় পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বন্যার পানিতে তৈরী হওয়া গর্ত ভরাটের কাজ করছেন স্থানীয় যুবকরা। সেচ্ছাশ্রমে কাজ করা স্থানীয় হাসান পাটোয়ারীসহ সড়ক মেরামতের কাজে নিয়োজিত যুবকরা জানান, সড়কটির মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কি.মি. জায়গায় অন্তত: অর্ধশতাধিক স্পটে তৈরী হওয়া বড় বড় গর্ত ইটের খোয়া দিয়ে ভরাট করে যান চলাচল উপযোগী করা হয়েছে। এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

কুমিল্লা (দঃ) জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল আলম বাচ্চু বলেন, বন্যার পানি নামার সাথে সাথে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেসে উঠেছে ক্ষতচিহ্ন। সড়কটির মনোহরগঞ্জ থেকে আশিরপাড় পর্যন্ত বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও পথচারি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে জেনে সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। জনদুর্ভোগ লাগবে সেচ্ছাশ্রমে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সড়কটি সংস্কারের কাজ করার কথা জানান তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম সেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামতে কাজ করা যুবকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বন্যার পানিতে উপজেলার প্রায় ২০৪ কি.মি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়কের তালিকা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো যান চলাচল উপযোগী করতে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা যুবকদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, মনোহরগঞ্জে এমন কোন সড়ক নেই যেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। বন্যার পানি মাত্র সড়ক থেকে নেমেছে। এতেই ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক এখনো পানির নিচে। সরকারি বরাদ্ধের পাশাপাশি সড়ক সংস্কারে যুবকদের এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয় উল্লেখ করে তিনি বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এ জনপদের বাসিন্দাদের উপজেলা প্রশাসনের সাথে থাকার আহ্বান জানান।

বিডি প্রতিদিন/জামশেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর