নেত্রকোনার কলমাকান্দার আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলের প্রতিবাদে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ মুন্সিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই মানববন্ধন পালিত হয়।
বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে চার দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করা স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমা আক্তার, ভাই সোহরাব উদ্দিন ও তার বোনেরা ওই জমি দখলে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মাঠটি দখল মুক্ত করার দাবি জানান।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় মুন্সিপুর গ্রামের জিএম তাজুল ইসলাম তালুকদার মুন্সিপুর মৌজার সাবেক ১৪৩০ দাগের ৫০ শতক জায়গায় দক্ষিণ মুন্সিপুর প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। বর্তমানে সেখানে শিশু থেকে পঞ্চম ছয়টি শ্রেণিতে ২০৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।সম্প্রতি বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি স্থানীয় বাসিন্দা ঝুমা আক্তার ও তার লোকজন দখল করে চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে। ফলে কোমলমতি শিশুরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত) বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাঠটি বিদ্যালয়ের দখলে ছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর খেলার মাঠটি দখল করে ঝুমা আক্তার ও তার লোকজন। বর্তমানে মাঠটি উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করি। এই মাঠ দখলমুক্ত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের মাঠ দখল করে চার দিকে বেড়া দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সোহরাব উদ্দিন বলেন, যে জায়গাটিকে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বলা হচ্ছে, সেটি তাদের পৈতৃক জায়গা। এটি নিয়ে তারা আদালতে মামলা করেছিলেন। আদালত মুন্সিপুর মৌজার ৩৭৩ খতিয়ানে, সাবেক ১৪৩০ দাগে ২৮ শতক জমি স্থিতাবস্থা রাখার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটি তাদের জায়গা। এই জায়গায় যা ইচ্ছে তারা তাই করবেন।'
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে অভিযোগটি শুনেছি, সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ