যানবাহন বিকল হওয়ার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী ও শিশুরা। এর আগে বুধবার দিনগত রাত থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। বর্তমানে মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় থেকে বন্দরের কেওঢালা এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে সাড়ে ৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র যানজটের কারণে যাত্রীরা যথাসময়ে গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন না। সেই সঙ্গে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘক্ষণ এক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।সড়ক দিয়ে যাতায়াতকালে যানজটে আটকে পড়া গফুর হোসেন নামের এক চাকরিজীবী বলেন, অফিসে যাওয়ার জন্য শনির আখড়া থেকে সকাল ৭টায় গাড়িতে উঠেছি। কোনোমতে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত আসতে পারলেও আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। আজ অফিস মিস হয়ে গেলো।
সাজ্জাদ হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, সকাল থেকে যানজটে আটকে আছি। মৌচাক বাসস্ট্যান্ড থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত আসতেই একঘণ্টা সময় চলে গেছে।
এ বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ (টিআই) আবু নাঈম বলেন, বুধবার দিনগত রাতে মহাসড়কের কেওঢালা, লাঙ্গলবন্দসহ কয়েকটি স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। আবার এসময় কিছু যানবাহন উল্টো পথে প্রবেশ করলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। এরই মধ্যে আমরা কয়েকটি গাড়ি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে ফেলেছি। বাকিগুলো সরানোর চেষ্টা চলছে। বৃষ্টির কারণে আমাদের কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে আমাদের একাধিক টিম মহাসড়কে কাজ করছেন। আশা করছি, খুব শিগগিরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ