সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুরে মনোয়ারা খাতুন মনো (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে শরীর থেকে হাত ও মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত বৃদ্ধার ভাতিজি জামাই জাকারিয়া হোসেনকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে এনায়েতপুর থানার স্থল ইউনিয়নের উত্তর নওহাটা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত মনোয়ারা খাতুন মনো ওই গ্রামের মৃত শান্তা শেখের স্ত্রী। আটক জাকারিয়া একই গ্রামের খোরশেদ সরকারের ছেলে। তিনি নিহত বৃদ্ধা মনোয়ারা খাতুনের দেবর বয়ান আলীর মেয়ের জামাই।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (২ অক্টোবর) বৃদ্ধা মনোয়ারা চরের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ওইদিন সন্ধ্যার আগে জাকারিয়া হোসেন বৃদ্ধার বাড়িতে ঢুকে তাকে মাছ কাটা দা দিয়ে কুপিয়ে দু’হাত ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ বস্তায় ভরে ঘরে রেখে পালিয়ে যাওয়ার পথে রক্তমাখা জামা দেখে গোসাইবাড়ী চর এলাকায় জনগণ তাকে আটক করে। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গম চর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া আটক জাকারিয়াকে থানায় নিয়ে আসে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে মনোয়ারা খাতুনের দেবর বয়ান আলীর মেয়ে তাছলিমার সাথে জাকারিয়ার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছিল। জাকারিয়া আগেও একবার বিয়ে করে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিল। সে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হওয়ায় মনোয়ারা খাতুন তার সাথে ভাতিজিকে বিয়ে দিতে অসম্মত ছিলেন। তারপরও দেবর বয়ান আলী জাকারিয়ার সাথেই মেয়ে তাছলিমাকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর তাদের দুটো সন্তানও জন্ম হয়েছে। বিয়েতে অসম্মতি জানানোর কারণে মনোয়ারার ওপর আগে থেকেই ক্ষিপ্ত ছিলেন জাকারিয়া।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন ইয়াজদানি জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত জাকারিয়াকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছে ঘাতক জাকারিয়া মানসিক বিকারগ্রস্ত হওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত