৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১৯:৫৪

নিষিদ্ধ চায়না জালের অবাধ ব্যবহার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

মাদারীপুর প্রতিনিধি

নিষিদ্ধ চায়না জালের অবাধ ব্যবহার, এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

মাদারীপুর সদর, কালকিনি, শিবচর রাজৈর, ডাসারের বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাশয়ে অবাধে চলছে নিষিদ্ধ চায়না ম্যাজিক জাল (রিং জাল) দিয়ে মাছ শিকার। নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের পর এবার ভয়ংকর চায়না জালের ফাঁদে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। ফলে ক্রমেই মাছশূন্য হয়ে পড়ছে এই এলাকার বাজারগুলো।

এদিকে, অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারপরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের। এতে করে সচেতন মহলের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

শুক্রবার সকালে কালকিনি উপজেলার পৌর এলাকার নয়াকিন্দ নামকস্থানে অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিতোষ মন্ডল, লিটন মন্ডল, দিনেশ মন্ডল, শৈলেন মল্লিক, প্রশান্ত মন্ডল, বশুরাম মন্ডল, শৈলেন মন্ডল, মিল্টন মন্ডল ও মানিক মোল্লা প্রমুখ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রিং জাল দিয়ে মাছ শিকারে। নদ-নদীতে থাকা মিঠা পানির সব ধরনের দেশীয় মাছ এই চায়না জালে ধরা পড়ছে। বিশেষ করে গত কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টির ফলে নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ে পানি বৃদ্ধির ফলে এই প্রজনন মৌসুমে ডিমওয়ালা চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, কই, শিং, মাগুর, তেলাপিয়া, বেলে, বোয়াল, শোল, টাকিসহ প্রাকৃতিক সব মাছ ধরা পড়ছে চায়না জালে। এ জন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মাছের প্রজননও অনেক কম হয়েছে। চায়না জালের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে মাছ শিকারের কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে শতাধিক জেলে পরিবার।

এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, অবৈধ জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সাধারণ জনগণের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর