টাঙ্গাইলের সখীপুরে কুকুরের কামড়ে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, বনপ্রহরীসহ ২২ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ১৬ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দুপুর ২টার পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার কালমেঘা, কড়ইচালা, ভালুকা উপজেলার বাটাজোর ও ডাকুরিয়া গ্রাম থেকে এরা কুকুড়ের কামড়ে আহত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন বলে জানায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এদের পাঁচজনকে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। অন্যরা নিজ অর্থায়নে ভ্যাকসিন ক্রয় করে চিকিৎসা নিয়েছে। এদিকে ভ্যাকসিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে বলে জানায় হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে জানা যায়, উপজেলার কালমেঘা গ্রামের শরিফা (৪০), আলিমুল (২৮), ইসমত আরা (৩০), জরিনা (৩৬), হেনা আক্তার (৫২), শফিকুল (৪০), পারুল (৪০), জুনায়েদ মিয়া (০৭), সোহেল (২৫), আনোয়ারা (৩৫), উপজেলার কড়ইচালা বিটের বনপ্রহরী মমিনুর ইসলাম (৫৬) নূরমোহাম্মদ (৪০), নাজমা (৫৫), আব্দুল খালেক (৬০) এবং ভালুকা উপজেলার ডাকুরিয়া গ্রামের সালমান (২৬), বাটাজোর গ্রামের ফেরদৌসিকে (৪৫) ঢাকা সংক্রমন ব্যধি হাসপাতাল (আইডিএস) এ রেফার্ড করা হয়েছে।এছাড়া সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে থেকে সজিব (৩২), রাব্বি (১৬), হানিফ (৪০) আবু তালেব (৬৫), বীরমুক্তিযোদ্ধা এসহাক (৭০), আনজুমকে (০৩) চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, দুপুর ২টার পর থেকে কুকুরের আক্রমণে আহত রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসে। যাদের শরীরে আঘাত বা ক্ষত খুব বেশি বা গভীর ক্ষত তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে কুকুড়ের কামড়ের কোন ভ্যাকসিন নাই, চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল