শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যার পানির স্রোতে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় তিন দিনে বন্যায় মোট ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর কুতুবাকুড়া গ্রামের ফসলের মাঠ থেকে সহোদর দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- হাতেম আলী (৩০) ও তার ভাই আলমগীর হোসেন (১৮)। তারা অভয়পুর গ্রামের মৃত বাছির উদ্দিনের ছেলে। এর আগে নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে ইদ্রিস আলী, খলিলুর রহমান ও বাঘবেড় বালুরচর গ্রামের ওমিজা বেগমসহ ৫ জন।নিহতদের স্বজনরা জানান, শুক্রবার চেল্লাখালী নদীর পাহাড়ি ঢলের স্রোতের তোড়ে নিখোঁজ হন দুই সহোদর। এরপর থেকে তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। কুতুবাকুড়া গ্রামের দুজন কৃষক শনিবার বিকেলে ধানক্ষেতে তাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্বজনরা গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করে।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি ছানোয়ার হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢলের স্রোতে নিখোঁজ হওয়া দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরের সবকটি পাহাড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে প্লাবিত হয়েছে জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি ও শ্রীবরদীসহ ১৬ টি গ্রাম। আর গতরাতে নতুন করে নকলা ও সদর উপজেলার ৭ ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করায় পানিবন্দি অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছে মোট দুই লাখ মানুষ। অর্থাৎ এখন সারা জেলাই বন্যা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, জেলার ভোগাই নদীর পানি ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং চেল্লাখালীর ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও অপর দুটি পাহাড়ি নদী মহারশি ও সোমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। এদিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, মৃগী ও দশানী নদীর পানি।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ