নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে মুর্শিদা বেগম (৫২) নামে এক নারীর গলা কাটা লাশ সকাল ৭টার দিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, শনিবার দিবাগত রাতের যেকোন সময়ে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে বাচ্চু মিয়া। পুলিশ বাচ্চু মিয়াকে আটক করে। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এলামেলো কথাবার্তায় ধারণা হচ্ছে, তিনি হত্যাকান্ড ঘটিয়ে সারা রাত আলামত গোপনের চেষ্টা করেছিল।
আটক স্বামী মো.বাচ্চু মিয়া (৬৫) উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজীর বাড়ির মৃত আলাম মিয়ার ছেলে।
সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামের ছমি হাজীর বাড়ি থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাচ্চু মিয়া তার স্ত্রী মুর্শিদা বেগম একসাথে বসবাস করতেন। তাদের ৪ ছেলে রয়েছে, তবে তারা কেউ বাড়িতে থাকেনা। সকালে আমেনা বেগম নামের এক প্রতিবেশী মুর্শিদার গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মুর্শিদার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আরও জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম