৮ অক্টোবর, ২০২৪ ০১:৩৭

ফেসবুকে প্রেম, ফিলিপাইনের দুই তরুণীর বিয়ে রাজশাহীর দুই যুবকের সঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

ফেসবুকে প্রেম, ফিলিপাইনের দুই তরুণীর বিয়ে রাজশাহীর দুই যুবকের সঙ্গে

ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল চারজনের। তারা ভিন্ন দেশের, আলাদা ভাষার এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছেন। এত অমিল থাকার পরও ভালোবাসার টানে তারা এক হয়ে গেছেন। ফেসবুকের পরিচয় থেকে শুরু হয় বন্ধুত্ব, এরপর প্রেম। সেই প্রেমের টানে ফিলিপাইনের দুই তরুণী এসে বাংলাদেশে, রাজশাহীর তানোরে বিয়ে করেছেন।  

এই দুই দম্পতি হলেন তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম (২২) ও ফিলিপাইনের জাম্বোয়াঙ্গা উপদ্বীপ অঞ্চলের খাদিজা ইসলাম (২২), এবং তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মালশিরা গ্রামের রেজাউল করিম (৩৩) ও ফিলিপাইনের নেগ্রোস দ্বীপের বাগো শহরের মরিয়ম খাতুন (৩২)।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে ফেসবুকে সাইদুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় হয় ফিলিপাইনের খাদিজা ইসলামের। সেই সময় খাদিজা সৌদি আরবে কর্মরত ছিলেন এবং তার পূর্ব নাম ছিল রিজেল ক্লিয়ার। ফেসবুকে পরিচয়ের পর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, যা পরে প্রেমে রূপ নেয়। চলতি বছরের ৫ অক্টোবর খাদিজা সৌদি থেকে বাংলাদেশে আসেন এবং ঢাকায় বিমানবন্দরে রাকিবুল তাকে স্বাগত জানান। পরদিন, ৬ অক্টোবর, তারা মুসলিম রীতিতে বিয়ে করেন এবং এখন তারা রাকিবুলের বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করছেন। রাকিবুলের পরিবার ভিন দেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুবই খুশি।  

অন্যদিকে, একই ইউনিয়নের রেজাউল করিমের সঙ্গে ফিলিপাইনের মরিয়ম খাতুনের প্রেমের সম্পর্কও ফেসবুকে তৈরি হয়। রেজাউল এবং মরিয়ম দুজনই সিঙ্গাপুরে কর্মরত ছিলেন, এবং সেখান থেকেই তাদের পরিচয় এবং বন্ধুত্বের শুরু। প্রায় তিন মাস আগে মরিয়ম বাংলাদেশে আসেন এবং মুসলিম রীতি অনুযায়ী রেজাউলকে বিয়ে করেন। এখন তারা রেজাউলের বাড়িতে বসবাস করছেন।  

রাকিবুল এবং রেজাউলের সঙ্গে তাদের দুই ফিলিপিনো স্ত্রীর পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘ফেসবুকের মাধ্যমে আমাদের পরিচয়। আমরা মেসেজ পাঠাতে ইংরেজি ভাষা ট্রান্সলেট করতাম। এভাবে আমাদের বন্ধুত্ব শুরু হয়, এবং পরে প্রেমে পরিণত হয়।’  

চারজনই তাদের পরিবারকে এই সম্পর্কের বিষয়ে জানান এবং চারটি পরিবারই সম্মতি দেয়। তবে মূল বাধা ছিল দূরত্ব। প্রথমে মরিয়ম তিন মাস আগে বাংলাদেশে আসেন এবং গত ৫ অক্টোবর খাদিজা বাংলাদেশে আসেন। তারা এখন স্বামীর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন এবং নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।  

রাকিবুলের বাবা সাইদুর রহমান বলেন, ‘বিদেশি পুত্রবধূ পেয়ে আমরা খুব খুশি। অনেক মানুষ তাদের দেখতে আসছেন, যা খুব ভালো লাগছে।’ নববধূ খাদিজা এবং মরিয়ম বলেন, ‘আমরা সবার কাছে দোয়া চাই, যেন আমরা সুখী হতে পারি।’  

বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর