নোয়াখালীতে হরতাল চলাকালে ইটের টুকরোর আঘাতে আহত এক শিক্ষককে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। দীর্ঘ ১০ বছর পর আলোচিত সেই শিক্ষিকা হত্যা মামলা থেকে খালাস পেলেন নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন ও জেলা কৃষকদলের সভাপতি ফজলে এলাহী ভিপি পলাশসহ মামলার ১৩৫ জন আসামি।
মামলার আসামিদের দুই ধাপে খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বিস্ফোরক মামলায় খালাস ও এর আগে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক এ রায় দেন।মামলায় আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন ও অ্যাডভোকেট বরকত উল্যাহ রাশেদসহ আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, শিক্ষক হত্যায় মামলাটি দুই ধাপে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রথম ধাপে শিক্ষক হত্যা ও দ্বিতীয় ধাপে বিস্ফোরক মামলায় ১৩৫ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর ফ্যাসিস্ট হাসিনার লোকদের মামলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা মুক্তি পেয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন জানান, তৎকালীন ফ্যাসিস্ট হাসিনা সংসদে বক্তব্য দিয়ে ভিন্নমতের নেতাকর্মীদের দমনের জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ৫০ জন বিএনপি নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ২০০০-২৫০০ হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়। সে রকম একটি মামলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মীদের মামলা দেওয়া হয়। আজ দীর্ঘ ১০ বছর পর এই মামলা থেকে আইনি লড়াইয়ের পর আমরা খালাস পেলাম।
জেলা কৃষকদলের সভাপতি ভিপি পলাশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ শিক্ষক হত্যা মামলাসহ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সমর্থিতদের বিভিন্ন মামলায় হয়রানির শিকার হয়ে আসছি। প্রতিদিন কোর্টের বারান্দায় থাকতে হতো।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে হরতাল চলাকালে ইটের ঢিলের আঘাতে মাইজদী প্রধান সড়কে থানা কাউন্সিলের পাশে শিক্ষিকার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে সুধারাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় বিএনপির ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে মামলা দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই