শিরোনাম
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:১১
পোকা ও রোগবালাই দমনে আলোচিত উদ্ভাবন

কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে “আলোক ফাঁদ”

দিনাজপুর প্রতিনিধি

কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে “আলোক ফাঁদ”

ফাইল ছবি

ভাল ফসল পেতে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি কীটনাশক মুক্ত চাষাবাদে ফসলের জমিতে আলোক ফাদঁ বসানো হচ্ছে। ফলে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে ফসলের জমিতে ক্ষতিকর পোকা দমনে দিনাজপুরে এই পদ্ধতি।

কৃষি বিভাগের পরামর্শে দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় এ আলোক ফাদঁ বসানো হচ্ছে। কৃষকদের রোপণ করা আমন ক্ষেতে পোকা ও রোগ-বালাই আক্রমণ যাতে না করতে পারে এবং কি ধরনের পোকা রয়েছে তা নির্ণয় করে ব্যবস্থা নিতে কৃষি বিভাগ কাজ শুরু করেছে। 

এতে কৃষকের অপ্রয়োজনীয় কীটনাশক ব্যবহার কমছে, আর ফসল থাকছে অনেকটা বিষমুক্ত।  ধানক্ষেতে আলোক ফাদঁ স্থাপন করে পোকা দমনের পাশাপাশি পোকা আক্রমণ হলে কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে সে ব্যাপারে প্রচারনা শুরু করেছে কৃষি বিভাগ। 

চাষাবাদে আর্থিক সাশ্রয়ের পাশাপাশি ভাল ফসল হওয়ায় কৃষককে লাভবান করবে এ ‘আলোক ফাঁদ’। আমন ধানসহ ফসল চাষে স্বল্প খরচে পরিবেশ বান্ধব ‘আলোক ফাঁদ’ ব্যবহারে ব্যাপক সফলতা এনে দিবে কৃষকের। 

বিভিন্ন গ্রামে কৃষকের জমিতে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থাপন ও তার ব্যবহার সম্পর্কে কৃষকদের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। 

প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষি ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা শনাক্ত এবং নিধনের লক্ষ্যে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকার আমন ধানের জমিতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রোপা আমন ধানে মাঠে ক্ষতিকারক ও উপকারী পোকা সনাক্ত করনে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই ফাঁদ কৃষকদের ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই সব ফাঁদ স্থাপন করে কৃষকদের হাতে-কলমে পোকা সনাক্ত করেন কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

জানা যায়, এই মৌসুমে রোপা আমন ধানের ক্ষেতে নানা ধরনের পোকা মাকড়ের দেখা দেয়। কৃষকেরা এইসব পোকা দমনে না বুঝে জমিতে ইচ্ছেমতো কীটনাশক ক্রয় করেন। এদিকে যেমন ফসল ও মাটির ক্ষতি হয় অন্যদিকে কৃষকেরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। 

কৃষকদের এই বিষয়ে সচেতন করতে কৃষি বিভাগ থেকে আলোর ফাঁদ স্থাপন করে পকা সনাক্ত করে কীটনাশক ব্যবহারের সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় ১৮টি ব্লকে এর মাঝে এই ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী বলেন, চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধানের মধ্যে আমার আরোক ফাঁদ ক্ষতিকারক এবং উপকারী পোকা শনাক্ত করে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। এই সময় আমি ও আমার ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে এই আলোক ফাঁদ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর