বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জে ৭৫ জন দরিদ্র ও নিবন্ধিত জেলের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।
মৎস্য অধিদপ্তরাধীন দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিকল্প আয়বর্ধনমূলক উপকরণ সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাছুর বিতরণ করা হয়। গোপালগঞ্জ সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তী এ বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সম্মেলন কক্ষে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওই প্রকল্প পরিচালক মো. খালেদুজ্জামান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেবলা চক্রবর্তী।
এ সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র সেন, কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার, সমবায় কর্মকর্তা এনামুল হক সহ মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প পরিচালক মো.খালেদুজ্জামান জানান, দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দশটি জেলার ৫২টি উপজেলায় ৩ হাজার ৩৩০ টি গ্রুপের মধ্যে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাঁচজন করে সদস্য নিয়ে এ গ্রুপ গঠিত হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, দেশীয় প্রজাতির মৎস্য পোনা নিধন ও কারেন্ট জাল থেকে বিরত থাকার উদ্দেশ্যে এ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যারা নিবন্ধিত মৎস্যজীবী রয়েছে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
পরে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে দরিদ্র ও নিবন্ধিত ওই ৭৫ জন জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ