২০২৩-২৪ সালে বাংলাদেশে ৫০ দশমিক ৫৮ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। খামারি অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রদত্ত সার সুপারিশ দিয়ে ফসল আবাদ করায় কৃষক ৮ হাজার ২০৫ কোটি টাকা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের কর্মকর্তাদের জন্য ‘খামারি মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেম’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালায় আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের ক্রপ জোনিং প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ৬০টি প্রদর্শনী ট্রায়ালের মাধ্যমে ফলাফলে জানা যায় খামারি অ্যাপ থেকে পাওয়া সার সুপারিশ ব্যবহার করে কৃষক চর্চার তুলনায় হেক্টর প্রতি সার খরচ ৩ হাজার ৭৪২ টাকা সাশ্রয় ও ৩৯০ কেজি ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১২ হাজার ৪৮০ টাকা। অর্থাৎ কৃষকের হেক্টর প্রতি আর্থিক লাভ হয়েছে ১৬ হাজার ২২২ টাকা। এ সময় উত্তরের মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিমিত সার ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক শফিকুল ইসলাম। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এইআরএস বিভাগের সদস্য পরিচালক ড. মো. মোশাররফ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে এতে বক্তৃতা করেন, ক্রপ জোনিং প্রকল্পের মাটি গবেষক ছাব্বির হোসেন, ক্রপ জোনিং প্রকল্পের পরিচালক হাসান মো. হামিদুর রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক আবিদ হোসেন চৌধুরী, বারি রংপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আল আমিন তালুকদার।
কর্মশালায় রংপুর কৃষি অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বীজ প্রত্যয়, কৃষি প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের কর্সকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল