বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা জয়ের জন্য শেষ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা। ৩ বলে তখন প্রয়োজন ছিল ৯ রান। ওভারের চতুর্থ বলটি স্টোকস মারেন মিড উইকেটে। সেখান থেকে বলটি কুড়িয়ে উইকেটরক্ষকের উদ্দেশে ছুড়েন মার্টিন গাপটিল। সেই সময় দ্বিতীয় রানের জন্য প্রাণপণে ছুটেন স্টোকস। গাপটিলের ছোড়া বলটি উইকেটরক্ষকের কাছে পৌঁছানোর আগেই স্টোকসের ব্যাটে লেগে চলে যায় বাউন্ডারির বাইরে। ফলে ইংল্যান্ডকে ৬ রান উপহার দেন ফিল্ড আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা।
অতিরিক্ত ওই রানেই নিউজিল্যান্ড শিরোপা দৌঁড় থেকে ছিটকে পড়ে। বিতর্কিত ওই ওভারথ্রো নিয়ে পরবর্তীতে জল্পনা-কল্পনা কম হয়নি। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও স্বীকার করেছেন কার্যত ওই আইন সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিল না।
এ সম্পর্কে উইলিয়ামসন বলেছেন, ‘আমি মূলত ওই মুহূর্তে আইনটি সম্পর্কে সঠিক জানতাম না। আর সে কারণেই আম্পায়ারদের উপর আস্থা রাখতে হয়েছে। আম্পায়ারের ভুল না হলে পরিস্থিতি হয়ত ভিন্ন হতে পারতো।’এমনকি নিউজিল্যান্ডের হেড কোচ গ্যারি স্টিড ও ব্যাটিং কোচ ক্রেইগ ম্যাকমিলানও স্বীকার করেছেন তারা কেউই সুনির্দিষ্টভাবে আইনটি সম্পর্কে জানতেন না। তারাও সে কারণেই অন-ফিল্ড আম্পায়ারদের উপরই আস্থা রেখেছিলেন। যদিও স্টিড ফাইনালের দুই আম্পায়ারের উপর দোষ না চাপিয়ে বলেছেন, ‘আম্পায়ারদের উপরই ম্যাচের সবকিছু নির্ভর করে। তারাও মানুষ, খেলোয়াড়দের মত তাদেরও মাঝে মাঝে ভুল হতেই পারে। এটা খেলারই একটি অংশ। এটা নিয়ে এত ভেবে লাভ নেই।’
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম