গত বছর এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে হারিয়েছিল আফগানিস্তান। একইসঙ্গে পাকিস্তানের কাছে লড়াই করে হারলেও ভারতের সঙ্গে টাই করেছিল। দুর্দান্ত সেই সাফল্যের কারণে উড়তে থাকা আফগানরা ফুরফুরে মেজাজে সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু সেই দলই বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচের সবকটিতেই হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে ইংল্যান্ড থেকে বিদায় নেয়।
অথচ ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নিয়েই ছয় ম্যাচ খেলে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় আফগানিস্তান। অথচ সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে একটিও জয় পায়নি তারা।
দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব হারানো গুলবাদিন নাইব বলেন, সিনিয়রদের পারফরম্যান্সের ওপর আফগানিস্তান দল নির্ভরশীল। কিন্তু এই সিনিয়ররাই বিশ্বকাপে ইচ্ছে করে খারাপ খেলেছে। যার প্রভাব পড়েছে দলের ফলাফলের ওপর।আফগানিস্তানের একটি স্থানীয় পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা আমার কথার কোনো গুরুত্ব দিত না। ম্যাচ হেরে তারা দুঃখিত না হয়ে ড্রেসিংরুমে হাসাহাসি করত! ম্যাচের মধ্যে আমি যখন তাদের কোনো নির্দেশনা দিতাম, তখন তারা আমার দিকে তাকাতই না!
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ করেই সফল অধিনায়ক আসগর আফগানকে সরিয়ে নেতৃত্ব দেয়া হয় গুলবাদিন নাইবকে। ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানরা। কিন্তু তাদের প্রতিবাদে কোনো কর্ণপাত করেনি বোর্ড। শুধু তাই নয়! বিশ্বকাপে আফগান সেরা ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদকে মাত্র দুই ম্যাচ খেলিয়ে ইনজুরির অজুহাত দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। দলের সেরা ক্রিকেটার আসগর আফগানকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি দল থেকেও বাদ দেয়া হয়। প্রথম তিন ম্যাচে বসিয়ে রাখা হয় তাকে।
এতে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে টানা হেরে যাওয়ায় গুলবাদিন নাইবকে সরিয়ে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির জন্য আফগানিস্তানের নতুন অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে রশিদ খানকে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম