৯ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:০৩

ঘূর্ণিঝড়ে 'ঝুঁকি' এড়াতে গতি কমিয়ে ট্রেন চলবে ৫০ কিলোমিটারে

পরিস্থিতি মেকাবেলায় প্রস্তুত প্রশাসন

সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম

ঘূর্ণিঝড়ে 'ঝুঁকি' এড়াতে গতি কমিয়ে ট্রেন চলবে ৫০ কিলোমিটারে

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে যাত্রীদের নিরাপত্তা এবং ঝুঁকি এড়াতে পূর্বাঞ্চলের আন্তঃনগর ট্রেনগুলো সংকেত থাকাকালীন সময়ে ৫০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে। তাছাড়া রেলওয়ে বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কঠোর নজরদারি ও মনিটরিংয়ে রয়েছে। খোলা রয়েছে সর্তক বিভাগ ও কন্ট্রোল রুম। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুরসহ এর আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোতে। এসব অঞ্চল দিয়ে চলাচল করে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সবকটি ট্রেন। তবে সরকারি বন্ধের দিনেও রেল প্রশাসন কাজ করছেন বলে জানান পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসির উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কোন ট্রেন শিডিউল বাতিল করার কোনো সম্ভাবনা নেই এখনও পর্যন্ত। চট্টগ্রাম থেকে সব ট্রেন ঠিক সময়েই যাত্রা করবে। এতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে নিয়মিত ট্রেনের গতির চেয়ে আরো কম গতিতে চলাচল করবে সব ট্রেন। মহানগর গোধূলী তিনটায়, মহানগর এক্সপ্রেস দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে, মেঘনা এক্সপ্রেস চাঁদপুর উদ্দেশে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে, সোনার বাংলা বিকেল ৫টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। আশা করছি তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে এবং ঘূর্ণিঝড়ে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবেলায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সব বিভাগ প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি। একই কথা বললেন, পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (এডিশনাল জিএম) সরদার শাহাদাত আলীও।

শনিবার সকাল থেকেই রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সব বিভাগের দায়িত্বশীলরা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। বৈঠকে রেলওয়ের প্রতিটি বিভাগের প্রধান, অতিরিক্ত, ডেপুটিসহ অনেকেই উপস্থিত থাকছেন। এতে বিভাগের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনাও দেয়া রয়েছে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব সময় প্রস্তুতও রয়েছে রেল প্রশাসন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চলের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৫৩ কিলোমিটার পথে ট্রেন আসা-যাওয়ার জন্য আলাদা লাইন রয়েছে। আখাউড়া-লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার পথে একটি লাইন। এটিকে ডাবল লাইন করার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে ঘণ্টায় ৭২ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলে। সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে সময় নেয় ৫ ঘণ্টা ১০ মিনিট। লাকসাম-আখাউড়া পথে ৭২ কিলোমিটার মিশ্র গেজ ডাবল লাইন নির্মাণে কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৫৭ শতাংশ। সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত। টঙ্গী থেকে ভৈরব বাজার ও লাকসাম থেকে চট্টগ্রামের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ১২৫ কিলোমিটার রেলপথ মিশ্র গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামের চিনকি আস্তানা পর্যন্ত রেলপথ সংস্কার করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর