৯ নভেম্বর, ২০১৯ ১৮:৩৭

ঝালকাঠিতে মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আনাগ্রহ!

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠিতে মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আনাগ্রহ!

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ঝালকাঠিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। দু’দিন ধরে বৃষ্টি থাকলেও আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনাগ্রাহ সাধারণ মানুষদের মধ্যে। বৃষ্টি ছাড়া হাওয়া কিংবা দমকা হাওয়া না থাকায় নদী তীরবর্তী মানুষদের মাঝে এর প্রভাব বেশি পড়ছে না। তবে নদী তীরবর্তী কিছু মানুষ আশ্রয় প্রকল্পের দিকে ছুটছেন।

শনিবার দুপুর ৪টা পর্যন্ত জেলার মাত্র কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে কিছু মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে জেলার নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদী নিকটবতী ভৈরবপাশা ও মড়গ  এবং রাজাপুর উপজেলার বিশখালি নদী পাড়ের বড়ইয়া ও মঠবাড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে হাজারের বেশি মানুষ এসে আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও নিম্ন অঞ্চলের কিছু মানুষ পার্শ্ববর্তী দ্বিতল ভবনে আশ্রয় নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। 

এদিকে, সকাল থেকেই লাগামহীন ভাবে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যহত আছে। নদীগুলোও উত্তাল রূপ ধারণ করছে। অভ্যন্তরীণসহ সব রকমের নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। জেলার ৭৪টি ছোট বড় আশ্রয় কেন্দ্রে দুপুরের পর থেকে মানুষ ছুটছেন। 

অনেকেই বলছেন, উপকূলীর মানুষ এসব বৈরী আবহাওয়ার সাথে অভ্যস্ত রয়েছে। তাই তারা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজ বাড়িতে থাকতে পারেন ততক্ষণ থাকবেন। আবার অনেকেই পরিবারের লোকজন ও গবাদি পশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন যে এগুলো নিয়ে কিভাবে দূরবর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরউজ্জামান মনির উপজেলার পালট আশ্রয় কেন্দ্রে বসে সাংবাদিদের জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে। প্রচুর পরিমাণ শুকনো খাবার মজুত করা হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে চিড়া, গুড় ও মুড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। রাতে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হবে। 

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, জেলায় ৭৪টি সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল-কলেজ প্রস্তুত রাখা  হয়েছে। জেলা পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কন্টোলরুম খোলা হয়েছে। আশ্রায়ণ কেন্দ্রের জন্য ৭ লাখ টাকা, ১১২ মেট্রিক টন চাল ও ২ হাজার মেট্রিক টন শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে শুকনো খাবার বিতরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন আশ্রায়ণ কেন্দ্রে ৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। 

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর