শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। যে কোন সময় বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। এদিকে বুলবুলের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় বন্ধ হলো পিঁয়াজ আমদানি। তবে বৈরি আবহাওয়া কেটে গেলে তিন চার দিন পর পিঁয়াজ আমদানি পুনরায় শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এতে পিঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট এর ব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, শনিবার সকাল থেকে মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ ও অন্যান্য পণ্য বোঝাই কোনো ট্রলার বন্দরে আসেনি। শুধু আগের দিন এসে নোঙর করা ট্রলারের পিঁয়াজ খালাস হয়েছে।
স্থলবন্দরের এক পিঁয়াজ আমদানিকারক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পাওয়ার পর থেকে পণ্য আমদানি আপাতত বন্ধ রেখেছি। এ মুহূর্তে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে, তাই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে না যাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে পিঁয়াজ বোঝাই কোন ট্রলার ছাড়বে না।চলতি নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই মিয়ানমার থেকে বেশি পরিমাণে পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তিন চার দিন পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।
টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পিঁয়াজ আমদানির শেষ দুই দিনে মিয়ানমার থেকে রেকর্ড পরিমাণ পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ দুই দিনে বন্দরে ২ হাজার ৭৪৭ মেট্রিক টন পিঁয়াজ খালাস হয়েছে।
শুল্ক কর্মকর্তা আবছার উদ্দিন জানান, শেষ দিন আসা পিঁয়াজভর্তি বন্দরে নোঙর করা সব ট্রলারের পিঁয়াজ খালাস শেষ হলে এ পরিমাণ আরও বাড়বে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত