শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
বই পরিচিতি

কৃষণ চন্দর ইরানি পোলাও

অনুবাদ : জাফর আলম

কৃষণ চন্দর ইরানি পোলাও

উর্দু কথা সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী কৃষণ চন্দর। অনুবাদের মাধ্যমে কৃষন চন্দর বাংলাদেশের পাঠকমহলে সুপরিচিত। বাংলা ভাষী পাঠকের কাছে কৃষণ চন্দর অত্যন্ত আদরনীয়। তার কয়েকটি নির্বাচিত গল্প নিয়ে 'ইরানি পোলাও' অনুবাদ সংকলনটি তৈরি করেছেন বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অনুবাদক জাফর আলম। অনুবাদক কৃষণ চন্দর সম্পর্কে বলেছেন, 'তিনি ছিলেন মানবতবাদী লেখক।' 'ইরানি পোলাও' গল্পে লেখকের বস্তির মাতৃ-পিতৃহীন কিশোরদের প্রতি তার সীমাহীন দরদ ফুঠে উঠেছে । কৃষণ চন্দর ছিলেন সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোড়ামির ঘোরবিরোধী। 'বেগুনের গুণ' গল্পে লেখক ধর্মীয় গোড়ামির ফলে সমাজে যে অশান্তির সৃষ্টি হয় তার অনবদ্য বর্ণনা দিয়েছেন। তার বর্ণনা মানুষের মনকে সহসা স্পর্শ করে। আর এখানেই লেখকের স্বার্থকতা। 'ফাঁসির মঞ্চে' গল্পে লেখকের মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির ফলে ফাঁসি দেওয়া যে কত অমানবিক তারই বর্ণনা দিয়েছেন। 'প্রেমের নাম যাত না' গল্পে লেখক একজন মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর প্রতি নার্স 'জয়ের' সীমাহীন দরদ ও ভালোবাসার সুন্দর বর্ণনা উপস্থাপন করেছেন। 'কক্ষচ্যুত নক্ষত্র' গল্পে দেখিয়েছেন, ডাক-বাংলোতে ধনীদের আরাম-আয়াসের জন্য গরিব মেয়েদের সতীত্ব বিসর্জন দানের কাহিনী। 'হোটেল আরাম' গল্পে লেখক রাজনীতিকদের জনতার কাছে মিথ্যা প্রতিশ্রুতির সমালোচনা করেছেন। তিনি গল্পের শেষে লিখেছেন, 'আমরা হিন্দুস্তানি। আমরা সকলে কারও না কারও কাচে দেশকে বিক্রি করেছি।' 'ঝিলামের বুকে' কৃষণ চন্দর রচিত প্রথম উর্দু গল্প। ঝিলাম নদী নৌকায় পার হওয়ার জন্য অপেক্ষমান এক নবদম্পতিকে দেখে লেখক ও এক অনবদ্য রোমান্টিক গল্পের স্কেচ এঁকেছেন। অনুবাদক অত্যন্ত সুচারুভাবে গল্পগুলোর অনুবাদ করেছেন। যা পাঠকের কাছে আদরনীয় হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ইরানি পোলাও

রচনা : কৃষণ চন্দর

অনুবাদ : জাফর আলম

প্রকাশক : উত্তরণ, ৩৯/১ বাংলাবাজার, ঢাকা।

প্রকাশকাল : ফেব্রুয়ারি ২০১৫,

প্রচ্ছদ : ধ্রুব এষ, পৃষ্ঠা : ১১২

মূল্য : ১৭৫ টাকা

 

 

সর্বশেষ খবর