শুক্রবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রাগী কুকুরের কান্ড

আশিক মুস্তাফা

রাগী কুকুরের কান্ড

ছোটদের ভাত খাওয়াতে মা-বোনেরা মজার মজার গল্প শোনান। গল্পের উপকরণ আশপাশের পরিচিত জগৎ থেকেই নেওয়া। এসব গল্প শুনতে শুনতে কখন যে ছোটরা খাবার শেষ করে ফেলে বুঝতেই পারে না তারা! ছোট্ট বন্ধু, তোমার আদুরে ভাই কিংবা বোনটা যদি খেতে না চায় তবে তাকে এই গল্প শুনিয়ে দেখতে পারো।

 

বাপরে, কুকুরটা কেমন ঘেউ ঘেউ ডাকছে; শুনতে পাচ্ছো তুমি? এ কুকুরটার না মা নেই। বাবাও নেই। সে যখন অনেক অনেক ছোট তখন হারিয়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে তার মা-বাবাকে আর খুঁজে পায়নি। কুকুরটার তখন অনেক মন খারাপ হয়েছিল। সে একাকী থাকত। পথের ধারে পড়ে থাকত। কেউ তাকে আদর করত না। তার সঙ্গে কথা বলত না। খাবার দিত না। একদিন সে কান্না করছিল পথের পাশে। তখন তোমার দাদাভাই কুকুরটা দেখে বাড়ি নিয়ে এলো। তারপর কী করেছে জানো? কুকুরটাকে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করাল। গা মুছে রোদ পোহাতে দিল। রোদে যখন শুকাল তখন তাকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। তারপর তোমার দাদাভাই কুকুরছানাটাকে খেতে দিল। খাবার পেয়ে সে গপাগপ খেতে থাকল। আর মুখে কাই-কুই শব্দ করতে থাকল। আসলে এটা হচ্ছে কুকুরছানাদের আনন্দের শব্দ। তারা যখন কোনো কিছু পেয়ে খুশি হয় তখন এমন শব্দ করে। এরপর তাকে আরও অনেক অনেক খাবার দেওয়া হলো। সে সব খেয়ে ফেলল। খেতে খেতে সে এত্তো বড় হয়ে গেল। এখন পাড়ার সব কুকুর তাকে ভয় পায়। সে ঘেউ-উ-উ করে ডাক দিলে যেন পাড়া কেঁপে ওঠে। একদিন আমাদের বাড়িতে একটা চোর এসেছিল। অনেক রাতে। সবাই তখন ঘরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল। কিন্তু কুকুরটা চোরের পায়ের আওয়াজ পেয়ে জেগে উঠল। তারপর চোরটাকে ধরে আচ্ছা কামড়াতে থাকল। চোরটা কোনোরকমে নিজেকে কুকুরের মুখ থেকে ছাড়িয়ে মা-গো-ও-ও, বাবা-গো-ও-ও বলে দৌড়াতে থাকল। এর পর থেকে আর কোনো দিন আমাদের বাড়িতে চোর আসেনি। তবে কুকুরটার রাগ এখনো কমেনি। সে সব সময় চোখ লাল লাল করে ঘোরে। তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও, না খেলে কুকুরটা আবার চলে আসবে!

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর