শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইচ্ছেমতো আঁকি

মনিরা পারভীন

ইচ্ছেমতো আঁকি

আজ থেকে ওর বেশি যত্ন নিবে। গল্প করবে। আর এই পাখিটার একটা ছবি এঁকে নিয়ে আসবে। এ কথা শুনে নুহা খুব খুশি হয়।

নুহা আজ খুব খুশি। রুটিনে ছবি আঁকার ক্লাস আছে। এই ক্লাস তার খুব পছন্দ। মিস তাদের অনেক আদর করেন। মিসকেও সবাই খুব ভালোবাসে।

নীলা মিস ক্লাসে এলেন। বললেন, আজ কোনো ছবি এঁকে দেব না। তোমরা ইচ্ছেমতো আঁকবে, কেমন?

সব শিক্ষার্থী একসঙ্গে বলল, জি মিস।

মিস বললেন, তবে সবাই তৈরি হও।

শিক্ষার্থীরা আর্ট খাতা, পেন্সিল, রাবার, রং নিয়ে তৈরি হলো।

মিস ঘুরে ঘুরে দেখছেন। সবাই মনের খুশিতে আঁকছে। তিনি উৎসাহ দিতে লাগলেন। সবার ছবি আঁকা শেষ হলো। মিস, সব ছবি একসঙ্গে করলেন। ভিপ বোর্ডে ছবিগুলো লাগিয়ে দিলেন। সবাই দেখে খুব মজা পেল। ছবিতে ছিল ফুল, আম, পতাকা, বেলুন, ঘর, বল, আপেল, গাছ, মাছ, প্রজাপতি, পাখি। সিমি এঁকেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে সিমি। তুবা এঁকেছে একটি বুড়ি লাঠি নিয়ে আছে। শীতল এঁকেছে মেঘের দেশে মানুষ। ইফান এঁকেছে নদীতে মাছ। নিশি এঁকেছে পোকা। ইশান এঁকেছে গাড়ি। নুহা এঁকেছে একটা রক্তমাখা পাখির ছবি। মিস বললেন, তোমরা কত কী পার! দারুণ সব ছবি। রং খুব সুন্দর করেছ। খুব ভালো লেগেছে আমার। একটা ছবির গল্প শুনতে চাই। নুহা, বলতো তোমার পাখি আকাশে উড়ছে না কেন? ওর গায়ে রক্ত কেন? নুহা কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল, আমার একটা পাখি ছিল মিস। ওকে কী যেন কামড় দিয়েছিল। রক্ত বের হয়ে পাখিটি মারা যায়। আমি ওকে এঁকেছি।

নুহার কথা শুনে সবার খুব মন খারাপ হলো।

মিস বললেন, খুব দুঃখের কথা। মন খারাপ কর না। তোমার আর পাখি নেই?

নুহা বলল, আছে মিস।

আজ থেকে ওর বেশি যত্ন নেবে। গল্প করবে। আর এই পাখিটার একটা ছবি এঁকে নিয়ে আসবে। এ কথা শুনে নুহা খুব খুশি হয়।

এবার মিস এক প্যাকেট চকলেট বের করলেন। সবাইকে চকলেট দিলেন। সবাই হাততালি দিল। মিসকে ধন্যবাদ জানাল। তিনিও আজকের মতো ক্লাস শেষ করলেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর