শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বুদ্ধিমান টিয়া

বুদ্ধিমান টিয়া

টিয়া পাখি পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া মুশকিল। টিয়া পাখির অন্যতম আকর্ষণ; এরা কথা বলতে পারে। ছোট বাচ্চারা টিয়া পাখি ভীষণ পছন্দ করে। শহরের বাচ্চারা ইন্টারনেটে টিয়া পাখির ছবি সার্চ দিয়েও দেখে। কথা বলার কারণে বিজ্ঞানীরা টিয়া পাখির বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। এতে চমকপ্রদ কিছু লক্ষ্য করেন। বিজ্ঞানীরা প্রায় ৩০ বছর ধরে টিয়া পাখি নিয়ে গবেষণা করে যেটি জানতে পেরেছেন যে, পাঁচ বছরের মানুষের বাচ্চার মতো বুদ্ধির অধিকারী টিয়া পাখি। তার ভক্যাবুলারিতে ১৫০টির মতো শব্দ রাখতে পারে, কলা চাইতে পারে। কলা চাইবার পর যদি তাকে বাদাম দেওয়া হয় তাহলে না খেয়ে চুপ করে বসে থাকে অথবা যে দিয়েছে তার দিকে ছুড়ে মারে। এই পরীক্ষাটি করা হয়েছিল আফ্রিকান গ্রে প্রজাতির একটি টিয়া পাখির ওপর গবেষণা করার পর। গবেষণাটি করেন ডা. ইরিন পেপারবার্গ। টিয়াটির নাম অ্যালেক্স, পাখিদের জন্য ব্যবহৃত অ্যাভিয়ান (পক্ষীকুলের) ভাষার প্রযুক্তি প্রয়োগ করে এই পরীক্ষণটি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত টিয়া পাখিটি ২০০৭ সালে মারা যায়। তবে এই পরীক্ষণের মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয় মানুষের সামনে উন্মোচিত হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষেই অ্যালেক্স ছিল বিশেষ বুদ্ধির অধিকারী টিয়া। টিয়া পাখিটি সাত ধরনের ভিন্ন ভিন্ন রং এবং পাঁচ ধরনের ভিন্ন আকৃতির বস্তুকে আলাদা করে শনাক্ত করতে পারতো। তাছাড়াও সে বড়, ছোট, ভিন্ন, একই ইত্যাদি কথার মানে বুঝতে সক্ষম ছিল।

সঙ্গে সঙ্গে সে উপরে এবং নিচে এর মর্মার্থও বোঝা শিখছিল। আর মারা যাওয়ার আগের রাতে ডা. ইরিনকে বলা তার সর্বশেষ উক্তি ছিল, ‘You be good. See you tomorrow. I love you.’ যার অর্থ, ‘তুমি ভালো থেকো, কাল দেখা হবে, আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ কিন্তু এরপর আর কথা বলেনি অ্যালেক্স। বিজ্ঞানীরা এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩৫৬ প্রজাতির টিয়া পাখি শনাক্ত করেছেন, এর মধ্যে ম্যাকাও, ক্যাকাটুস, প্যারাকিটস বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। টিয়া পাখি নিয়ে জনপ্রিয় কার্টুন চরিত্র রয়েছে। মিনা কার্টুনে মিনার একটা পোষা টিয়া পাখি ছিল। টিয়া পাখিটি মিনাকে দারুণ হেল্প করত। যারা মিনাকে ঝামেলা করত তাদের বিভিন্ন সময় শায়েস্তা করতে টিয়া পাখিটি। ব্যঙ্গাত্মক কথা বলেও দর্শকদের মজা দিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর