২৯ জুলাই, ২০১৯ ১৪:১১

বগুড়ায় ৭৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ায় ৭৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

বগুড়ায়  মোট ৭৭  জন ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি আছে ৪০ জন , জেলার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে ৭ জন। ২৪ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি  ফিরে গেছে। আর ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

এই তথ্য দিয়েছেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের  এর  সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোঃ আরিফুর রহমান তালুকদার। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শজিমিক হাসপাতাল ছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছে আরো ৭ জন। আক্রান্তদের সকলেই ঢাকা থেকে এডিস মশার জীবানু বহন করে বগুড়ায় এসেছে।

মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল ছাড়াও চিকিৎসাধীন আছে এমন আর ৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছে বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়াস্থ শামসুন নাহার ক্লিনিকে। ৩ জন ডক্টর’স ক্লিনিকে ভর্তি আছে। আক্রান্তদের  চিকিৎসার জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডাক্তার হালিমুর রশিদের নেতৃতত্বে ১০ জন সদস্যের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে বহিঃর্বিভাগের সামনে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার মোঃ আরিফুর রহমান তালুকদার জানান, ব্লাড সেল সেপারেটর মেশিন নেই। অনেক  আগে কোন একটি সংস্থা ২ টি সেল সেপারেটর মেশিন দিলেও তা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হলেও হেমোরেজিক ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার কোন সরঞ্জামাদি নেই। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। রোগীদের জাতীয় গাইড লাইন মোতাবেক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যারা রেফার্ড নিয়ে ঢাকায় যেতে চাচ্ছেন তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সকলেই ঢাকায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তারা প্রথম ধাপে রয়েছেন। তাদের অবস্থা খারাপ নয়। ছাড়পত্র নিয়ে কেউ ঢাকায় গিয়ে আবারো চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডা: গওসুল আজিম চৌধুরী জানান, বগুড়া শহরের বেসরকারি ক্লিনিকে ৭ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আর শজিমেকে ভর্তি রয়েছে ৪০ জন। এছাড়া আরো ২৪ জন রোগী ছাড়পত্র নিয়েছেন। ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ৬ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছেন। এ পর্যন্ত বগুড়ায় এডিশ মশার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। যারা আক্রান্ত তারা সবাই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে বগুড়ায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

বিডি প্রতিদিন/ তাফসীর আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর